যশোরে চার পাচারকারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

mamla rai

যশোরে মানবপাচার মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক টিএম মুছা বুধবার ১১ বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা গ্রামের নজরুল ইসলাম, তার স্ত্রী ফুলজান বিবি, কার্তিক চন্দ্র হালদার এবং একই জেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামের নূর হোসেন।

এদের মধ্যে কার্তিক চন্দ্র ও নূর হোসেন রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলো। অন্য দুইজন পলাতক রয়েছে। এছাড়া এ মামলায় আরো পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আদালতের বিশেষ পিপি এম ইদ্রিস আলী মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০০৮ সালে নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে দিনমজুরের কাজ করতে আসেন। তারা ওই গ্রামের একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। পরে তারা সেই বাড়িওয়ালার দুই মেয়েকে ঢাকায় ভালো কাজ দেয়ার কথা বলে গোপনে নিয়ে যায়। এরপর তাদের কৌশলে ভারতে পাচার করা হয়। এ ঘটনায় দুই বোনের বাবা নয়জনের বিরুদ্ধে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে বাঘারপাড়া থানার পুলিশ ২০০৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সাজাপ্রাপ্ত চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। অন্যদের অব্যহতির আবেদন করা হয়। তবে আদালত নয়জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

পিপি ইদ্রিস আলী বলেন, এ মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে মানবপাচার দমন আইনের ৫/১ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়। এছাড়া দশ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। জরিমানা না দিলে প্রত্যেককে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়। তাছাড়া একই আইনের ৬/১ ধারায় প্রত্যেককে আরো ১২ বছর করে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। দুই সাজা একই সঙ্গে চলবে বলে জানান পিপি ইদ্রিস আলী।