চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব সংসদে নাকচ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে সংসদ অধিবেশন আনা সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে সংসদের বেসরকারি দিবসে বগুড়া-৭ থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সদস্য মো. রেজাউল করিম বাবলু প্রস্তাবটি প্রত্থাপন করেন।

‘সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা হোক- লিখে প্রস্তাবটি আনেন তিনি। তার এ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবে ১০ জন সংসদ সদস্য সমর্থন দিয়ে সংশোধনী দেন।

জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন ভালো। এখন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়মিত পড়ালেখা হচ্ছে। সেশনজট হচ্ছে না। এ জন্য একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করার পর ৬ থেকে ৭ বছর পান। এই সময় তারা বহু চাকরির পরীক্ষার অংশ নিতে পারে। এছাড়াও আমাদের সংবিধান ও চাকরির বিধিমালায় আছে ন্যূনতম ২৫ বছর চাকরি না করলে পূর্ণ পেনশন পাবেন না।

তিনি বলেন, কেউ যদি ৩৭ বছরে চাকরিতে যোগ দেন। ২৫ বছর পূর্ণ করতে হলে তাকে ৬২ অথবা ৬৩ বছর বয়সে অবসরে যেতে হবে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের অবসরে যাওয়ার সময় ৫৯ বছর। সুতরাং তাকে আরও তিন/চার বছর চাকরি করতে হবে। কিন্তু আইন অনুযায়ী সেই সুযোগ নেই। এর ফলে পূর্ণ পেনশন তিনি পাবেন না। পেনশন পাওয়ার সময় নানা ধরনের জটিলতা দেখে দেবে।

তিনি বলেন, এছাড়া প্রতিবছর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বহু শিক্ষার্থী বের হয়, তাদেরও চাকরি সুযোগ দেয়া দরকার। তাই অবসরের সময় যদি বাড়ানো হয় তাহলে নতুনরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে। সে কারণে আপাতত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

প্রতিমন্ত্রী প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু প্রস্তাবকারী স্বতন্ত্র সদস্য প্রস্তাব তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে পরে ভোট হয়। ভোটে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান হয়।