ফনির প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে যেসব এলাকায়

ধেয়ে আসা ফণীর প্রভাবে দেশের বেশকিছু জেলার উপকূলীয় এলাকায় সাগর থেকে ধেয়ে আসা পানিতে নিচু এলাকায়গুলোয় স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলায় এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরকে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঝড়ো হাওয়ায় প্রাণক্ষয়ের পাশাপাশি জলোচ্ছ্বেসে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনার আগেই উপকূলীয় নিচু এলাকা থেকে মানুষ ও গবাদি পশু সরিয়ে নেয়া হলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভাব হয়।