এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাশের হার বৃদ্ধি পেলেও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে।
গত বারের তুলনায় এ বছর জিপিএ-৫ কমলেও পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস না হওয়ায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ বিষয়ে ডা. দীপু মনি বলেছেন, এ বছরও ফলের সূচকে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষণীয়। একইসঙ্গে এবার পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁসের মতো কোনো ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি।
আজ সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সমন্বিতভাবে এসএসসির ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় সব বোর্ডের চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা পর্ব শুরু হয়।
এ সময় লন্ডন থেকে টেলিফোনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান।
এরপর শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি ফলাফলে বিস্তারিত তথ্য ও উপাত্ত তুলে ধরে জানান, এবারের এসএসসির গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন শিক্ষার্থী। পাসের হারে শীর্ষে অবস্থান করছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ এসেছে ঢাকা বোর্ড থেকে। পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দুই ক্ষেত্রেই সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে সিলেট বোর্ড।
এদিকে মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩। সেখানে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ৬ হাজার ২৮৭ জন। কারিগরিতে পাসের হার ৭২ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৫১ জন।
এবারের ফল ইতিবাচক উল্লেখ করে ডা. দীপু মনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করে নি, এমন বিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্রেখ্য, এবার মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় ১০৭ প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছে। আর শতভাগ পাস করেছে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ৫৮৩টি। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ঘোষিত ফল থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর শূন্য শতাংশ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৭টি, গত বছর যা ছিল ১০৯টি। কমেছে দুটি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ১০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায় তদন্ত সাপেক্ষে বিবেচনাবশত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।