ঈদের আগেই দেশে ফিরতে চান কাদের

obidul kader
ফাইল ছবি

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঈদুল ফিতরের আগেই দেশে ফিরবেন। এমনটা আশা করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ব্যায়াম আর বিশ্রাম করে সময় কাটাচ্ছেন।

সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ বলেন, ‘স্যার (ওবায়দুল কাদের) দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন, সুস্থ হয়ে যেন বিগত বছরগুলোর মতো এবারও ঈদে যেন ঘরমুখো যাত্রীদের খোঁজখবর নিতে পারেন এবং ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো পরিদর্শন করতে পারেন।’

এ ছাড়াও আগামী ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সেতুমন্ত্রী- এমনটাই আশা সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওবায়দুল কাদের থাকবেন এমন আশা করছি আমরা।’

এর আগে গত বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময়ে কাদের নিজের বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তিনি ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।

গত ৩ মার্চ ভোরে ফজরের নামাজের পর হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিলে ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। প্রথমে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হলেও পরে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয় তাঁকে। এরপর শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে ভারতের স্বনামধন্য হৃদরোগ সার্জন ডা. দেবি শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০ মার্চ ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি করা হয়। ৫ এপ্রিল তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান। এরপর থেকে এই হাসপাতালের পাশে একটি বাসায় অবস্থান করছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর সহধর্মিণী ইসরাতুন্নেসা কাদের, সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফাইয়াজসহ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন।