রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কেনাকাটায় দুর্নীতি নিয়ে যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সে সম্পর্কে দুদক নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় তদন্ত করছে। সেই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দুদক ব্যবস্থা নেবে।
মঙ্গলবার বিকালে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘উই আর ওয়েটিং ফর দ্য রিপোর্ট। যেহেতু মিনিস্ট্রি কাজ করছে, আমরা তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পরে, আমরা রিপোর্ট চাইব, আমরা রিপোর্ট দেখব, তারপর যদি দেখি ইনগ্রেডিয়েন্ট আছে সেখানে ডেফিনিটলি আমরা সেখানে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দুদকের নজরে এসেছে। দুদক তার নিজস্ব পদ্ধতিতে এগোবে। কথা হলো দুর্নীতি হয়েছে বা হয়নি। গণমাধ্যমের যে তথ্য, সেখানে আমি দেখেছি। বালিশ, কেটলি এসব বিষয়। দেখেন- দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছু প্রসিডিউর আছে। একটা রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তো জাম্প দিতে পারি না। সেটা দেখতে হয়, বুঝতে হয়, চারদিক দেখতে হয়।’
চেয়ারম্যান জানান, মন্ত্রণালয়ের দুটি কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে দুদক ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির প্রধান।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আবাসন পল্লিতে আসবাবপত্র কেনাসহ অন্য আনুষঙ্গিক কাজে দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে নতুন ফ্ল্যাটের জন্য কেনা আসবাবপত্রের দাম এবং সেগুলো তোলার ক্ষেত্রে যে খরচ দেখানো হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।