১৯ বছর পর কেশবপুর কলেজের এইচএসসি ২০০০ ব্যাচের ইফতার মাহফিল

“১৯ বছর পর পুনর্মিলন প্রাণে জাগে প্রেম স্পন্দন” স্লোগানকে সামনে রেখে কেশবপুর কলেজের ২০০০ সালের এইচএসসি ব্যাচের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার কেশবপুর শহরের গাজীর মোড়ে ক্যাফে ডে লাইট ফাস্টফুড এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এসএসসি ১৯৯৮ ও এইচএসসি ২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে কেশবপুর।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত এ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন নাড়ীর টানে কেশবপুরে। এ ব্যাচের বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক পদে কর্মরত মাসুদুর রহমান বলেন, ব্যাচের অনেকের সাথেই আমাদের কথা হয় যোগাযোগ হয়। তবে এক সাথে বসা হয় না। এক সাথে বসার মানষিকতা থেকেই এ আয়োজন।

ইসলামিক ফাউন্ডশনের উপ-পরিচালক (নড়াইলে কর্মরত) বিল্লাল বিন কাশেম বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর পর আনুষ্ঠানিক ভাবে বসা। ঈদের পর দিন আমরা একসাথে সারাদিনটা কাটাবো তাই প্রস্তুতিটাও বেশ জমজমাট। ইতিমধ্যে ঢাকায় একদফা ইফতারে বসা হয়েছে। টি শার্ট, মগ তৈরী হয়েছে। অনুষ্ঠানের ব্যানার, খাবার মেন্যু প্রস্তুত করা হয়েছ।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডশনের উপ-পরিচালক (নড়াইলে কর্মরত) বিল্লাল বিন কাশেম, দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান, পি এস সির সহকারী পরিচালক মোখলেস মহসীন, ডাক্তার আজিজুর রহমান লিটু, অগ্রনী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আলাউদ্দীন খান ও মেহেদি হাসান লিপটন, জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সুজন ঘোষ, এন আর বি কমার্শিয়াল ব্যাংকের অফিসার এইচ এম আবু শরিফ সোহেল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওয়াহিদুজ্জামান বিশ্বাস, ইকবাল হোসেন খান তোতা, জনতা ব্যাংকের ফিরোজ রায়হান, শাহানূর আলম, ডাচ বাংলা ব্যাংকের হাফিজুর রহমান, ব্যবসায়ী লিটন আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ, কেশবপুর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, সাংবাদিক আব্দুল মোমিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কর্মরত জি এম মিন্টু ও ইব্রাহিম হোসেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেন সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি। ছিলেন সরকারের চাকুরীজীবী,ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা কেশবপুরের উন্নয়নে তাদের ভূমিকার কথা ব্যক্ত করেন। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন , ইসলামিক ফাউন্ডশনের উপ-পরিচালক (নড়াইলে কর্মরত) বিল্লাল বিন কাশেম।