পশ্চিমবঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্মঘটের বিষয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার রাতে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ‘নবান্নে’ ডেকে পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু বৈঠকের আহ্বানে সাড়া দেননি চিকিৎসকরা। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, সে জন্য তাঁর শর্তহীন ক্ষমাপ্রার্থনার দাবিতে অনড় চিকিৎসকরা এবং ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য প্রশাসনের কাছে ছয়টি শর্তও জানিয়েছেন তাঁরা। এনডিটিভি।
গত সোমবার কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজে চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগে জুনিয়র ডাক্তারদের হয়রানি করেন রোগীর আত্মীয়রা। এতে এক জুনিয়র ডাক্তার মাথায় গুরুতর আঘাত পান। এরপর থেকেই কর্মবিরতি শুরু হয়।
রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ৩০০ জনেরও বেশি সিনিয়র চিকিৎসক আজ পদত্যাগ করেছেন এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গেই জুড়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কিছু সিনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে বৈঠক করে পরদিন আলোচনার জন্য আন্দোলনকারীদের আমন্ত্রণ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তারা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের যৌথ ফোরাম এই বৈঠককে ‘আন্দোলন ভেঙ্গে ফেলার চক্রান্ত’ বলেই মনে করছে। তাঁদেরই একজন বলেন, “আমরা সচিবালয়ে কোনও বৈঠক করব না। মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে হবে এবং এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর বিবৃতির জন্য শর্তহীনভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।”
পশ্চিমবাংলায় চিকিৎসকদের প্রতিবাদ আজ পঞ্চম দিনে প্রবেশ করল। বৃহস্পতিবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে যান তিনি, তাঁর দাবি সেখানে প্রতিবাদকারী চিকিৎসকরা তাঁকে অপমান করেছেন। তিনি বলেন, “ওরা আমাকে বিরোধিতা করতে পারে, আমাকে অপমানও করতে পারে। আমার কিছু এসে যায় না কারণ ওরা অল্পবয়সী। আমি কেবল চাই, ওরা আবার কাজ শুরু করুক।” তিনি আন্দোলনের জন্য ‘বহিরাগত’ এবং বিজেপিকে দায়ী করেছিলেন।