আয়ার টাকা নেয়ার পরও শিক্ষার্থীদের দিয়ে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়ানোর অভিযোগ

যশোর উপশহর ডিব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে আয়ার টাকা নেয়ার পরও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে শ্রেণিকক্ষ ঝাড় দেয়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের সিলিং ফানে ঠিকমত বাতাস না হওয়ায় প্রচন্ড গরমে মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো হচ্ছে। অথচ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য নিজ খরচে শ্রেণি কক্ষের ফ্যান মেরামত করে দিতে গেলে প্রধান শিক্ষকের দূর্ব্যবহারের কারনে সেটা করা যায় নি বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে সাথে রয়েছে নানান অভিযোগ।

সোমবার বিদ্যালয়ে আসা কয়েকজন অভিভাবক জানান, প্রতি মাসে আয়া ও বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১০ টাকা নিচ্ছেন শিক্ষকরা। টাকা দেয়ার পরও তাদের ছেলে মেয়েদের দিয়ে শ্রেণি কক্ষ পরিষ্কার করানো হচ্ছে। এ কারনে সন্তানরা বিদ্যালয় থেকে বাড়ি যাওয়ার পর পরের দিন আর বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। তারা আরো জানান, আয়ার টাকার সাথে বিদ্যুৎ বিলের জন্য প্রতি মাসে ৫ টাকা করে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে নেয়া হচ্ছে। তারপরও শ্রেণি কক্ষের সিলিং ফ্যানে ঠিকমত বাতাস হচ্ছে না।এ কারনে প্রচন্ড গরমের মধ্যে কষ্টে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ করতে হয়।

অভিভাবকদের অভিযোগ শোনার পর সিরাজ নামে এ অভিভাবক সদস্য ফ্যানগুলো মেরামত করার জন্য বিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি পাঠালেও প্রধান শিক্ষিক তাদের সাথে দূর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেন।এ কারনে শ্রেণি কক্ষের ফ্যান মেরামত করা হয়নি। আরো অভিযোগ উঠেছে রোজার মধ্যে প্রধান শিক্ষিক কোন রেজুলেশন ছাড়ায় বিদ্যালয় থেকে ১১হাজার টাকার বেঞ্চ বিক্রি করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশিদা খাতুন জানান, তার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ মিথ্যা। তবে বিদ্যালয়ে না আসলে আপনার কোন প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম জানান, টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নেই লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।