চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে চলতি মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৭টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৩০০১ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ত্যাগ করে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আলম বলেন, প্রথম ফ্লাইটে মোট ৪১৯ জন হজযাত্রী জেদ্দা যাচ্ছেন।
বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী ফ্লাইটের হজযাত্রীদের বিদায় জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ।
প্রথম দিন বিমানের আরও চারটি ফ্লাইট হজযাত্রীদের সৌদি আরবে নিয়ে যাবে। বেলা সোয়া ১১টায় ফ্লাইট বিজি-৩১০১, বিকাল সোয়া ৩টায় বিজি-৩২০১, সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বিজি-৩৩০১ এবং রাত সোয়া ৮টায় বিমানের শিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ ঢাকা ছেড়ে যাবে।
এবারের হজ ফ্লাইট
>> জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ আগস্ট পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
>> বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে সৌদি আরবে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বাকিরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
>> হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পৌঁছে দিতে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট চলবে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত। আর ফিরতি ফ্লাইট ১৭ অগাস্ট থেকে শুরু হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
>> বিমান ১৫৭টি ডেডিকেটেড ও ৩২টি নিয়মিত ফ্লাইটে ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে। আর ৮৬টি ডেডিকেটেড ও ২৯টি শিডিউল ফ্লাইটে বিমান সৌদি থেকে হজযাত্রীদের দেশে আনবে।
>> সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইনস সবগুলো ডেডিকেটেড ফ্লাইটের মাধ্যমে বাকি হজযাত্রী পরিবহন করবে।
>> এ বছরই প্রথম ঢাকা থেকে মদিনায় ১১টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা ১০টি, সিলেট থেকে জেদ্দা ৩টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনা ৭টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বাকি ১২৬টি ফ্লাইট ঢাকা থেকে জেদ্দায় নিয়ে যাবে হজযাত্রীদের।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ফারহাত হাসান জামিল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রথমবারের মতো এ বছর কিছু ফ্লাইটের জেদ্দা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঢাকাতেই সম্পন্ন করা হবে। এজন্য সৌদি আরবের একটি ইমেগ্রেশন টিম ঢাকায় অবস্থান করছে।
হজের টিকেট কেনার পর যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে তারিখ পরিবর্তন করতে ২০০ ডলার এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রার তারিখ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৩০০ ডলার বা সমপরিমাণ টাকা মাশুল আদায় করা হবে এবার। এছাড়া নির্ধারিত ফ্লাইটে না গেলে ওই টিকেটের অর্থ ফেরতযোগ্য হবে না।
প্রতিবারের মতো এবারও বিমানের ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটের চেক-ইন, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা আশকোনা হজ ক্যাম্পেই হবে।
ইকনোমি ক্লাসের প্রত্যেক হজযাত্রী দুটি ব্যাগে সর্বোচ্চ ৪৬ কেজি এবং বিজনেস ক্লাসে সর্বোচ্চ ৫৬ কেজি মালামাল নিতে পারবেন। এর বাইরে কেবিন ব্যাগেজে নেওয়া যাবে সাত কেজি।
কোনো ধরনের ধারালো বস্তু- যেমন ছুরি, কাঁচি, নেইল কাটার, ধাতব দাঁত খিলান, তাবিজ বা গ্যাস জাতীয় বস্তু- যেমন অ্যারোসল এবং ১০০ মিলি লিটারের বেশি তরল পদার্থ হ্যান্ড ব্যাগেজে বহন করা যাবে না। কোনো ধরনের খাবারও সঙ্গে নেওয়া যাবে না।
গত কয়েক বছরের মত এবারও জমজমের পানি আগেই বাংলাদেশে আনা হবে। হজযাত্রীরা ফিরে এলে বিমানবন্দরে তাদের হাতে পাঁচ লিটার করে পানি তুলে দেওয়া হবে।