উদ্বোধনের অপেক্ষায় গদখালীর ফুলের হিমাগার

ফুলের রাজ্য গদখালীর ফুলচাষীদের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে কুলিংসেন্টার ও বি.এফ.স আধুনিক ফুল সেন্টার তৈরীর মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠানটির অর্থয়ানে USAID সংস্থা LGED এর মাধ্যমে কাজটি পরিচালনা করছে। সংস্থাটির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, রাস্তাসহ ৮০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। বর্তমানে ২০০ জন শ্রমিক কাজ করছে।

ফুল চাষী আব্দুল লতিফ (৩৫) জানান, বি.এফ.স সংস্থাটি চালু হলে চাষীদের ফুলের নায্য মূল্য নিশ্চত হবে। যার ফলে চাষীরা ফুলচাষে বেশি আগ্রহী হবে।
ফুল চাষী বাবু বলেন, প্রতিষ্ঠানটি চালু হলে ভালো মানের বীজ সংরক্ষণ করা যাবে এবং সঠিক সময় বীজ পাবে চাষীরা।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, প্রতিষ্ঠান থেকে চাষীরা ফুলের গুনগত মান উন্নয়নে গ্রেডিং ও প্যাকেজিং এর মাধ্যমে কুলিং চেম্বারে সংরক্ষণ এর সুযোগ সুবিধা পাবে। ফুল ও ফুলের বীজ সারা বছরে সংরক্ষণের সুবিধা থাকবে। থাকবে মৌসুমারিফুল ও অন্যান্য ফসলের ওপর প্রশিক্ষণের আবাসিক ব্যবস্থা। মহিলা ফুল চাষী ও বিক্রেতার জন্য ক্রয়বিক্রয়ের আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। গবেষকদের মাধ্যমে মাটির স্বাস্থ্য পরিক্ষার করে সুসম সারের উপদেশ নিতে পারবে চাষীরা। বি.এফ.স বাংলাদেশ আধুনিক ফুল বাজারে মাধ্যমে শুধু দেশের ফুলবাজারে নয় আন্তর্জাতিক ফুল বাজারে বেচা কেনার সু্যোগ থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য ৫০ জন স্টাফ রাখা হবে।

তিনি আরো জানান, প্রতিষ্ঠানটি দেশিয় প্রচালিত বাজার ব্যবস্থার নিতি মালার বাইরে নতুন বাজার ব্যবস্থাপনার নিতিমালা প্রস্তুত করণের ব্যবসায়ীক পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রচালিত করতে পারবে।

প্রতিষ্ঠানটির কাজ ইতিমধ্যে ৪৫ ভাগ সম্পন হইয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারা জানান, ২০২০ সালের মধ্যে কাজটি শেষ হবে এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ফুল চাষীরা এর সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।