চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলায় চকলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। শিশুটিকে বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শিশুটির বাবা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের ভ্যানচালক। ওই ইউনিয়নে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন আবদুল মালেক (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলা করছিল শিশুটি। ওই সময় আবদুল মালেক চকলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে তার ঘরে নেয়। বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে মালেক শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে না জানাতে শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখান তিনি।
শিশুর স্বজনরা জানায়, ওইদিন দুপুরে শিশুটিকে গোসল করাতে গিয়ে তার দাদি রক্তের দাগ দেখতে পান। শিশুটির কাছে জানতে চাইলেও ভয়ে বাড়ির কাউকে কিছু বলেনি সে। বুধবার রাতে যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়ে শিশুটি। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির লোকজনের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যায়। শিশুটি জানায়, এর আগেও একাধিকবার তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান ও পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী তাৎক্ষণিক সদর হাসপাতালে যান এবং শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। পুলিশ সুপার মো.মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, শিশুটিকে সদর হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শারীরিক পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পলাতক আবদুল মালেককে ধরতে জেলা ও সদর থানার পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।