যশোরের তালবাড়িয়া কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুনীতির অভিযোগ

jessore map

যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সহকারি লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ একজন শিক্ষকের পদন্নোতি, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের নামে অর্থবাণিজ্য ও নিয়ম না মেনে ৭টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে অবৈধভাবে কলেজের সহকারি লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া একজন শিক্ষকের পদন্নোতি ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের নামে অর্থবাণিজ্য নিয়ম না মেনে ৭টি গাছ কেটে নেয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

কলেজ সংশ্লিষ্ট, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে পরিচালনা পরিষদের সভা করে রেজুলেশন করতে হয়। তার একটা কপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হয়। সেখান থেকে অনুমোদন হওয়ার পর গাছ কাটতে হবে। কিন্তু তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ কর্তপক্ষ এই নিয়ম মানেনি।

অভিযোগ উঠেছে, কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষ কোন রেজুলেশন ছাড়াই গত মাসে চারটি ও চলতি মাসে আরো তিনটি মোট সাতটি মেহগনি গাছ কেটেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত মাসে কাটা ৪টি গাছ কলেজ কর্তৃপক্ষ কি করেছে তার কোন হদিস মেলেনি। তারা এই বিষয়ে সেচ্চার হলে পরবর্তীতে কাটা তিনটি গাছ হজম করতে না পেরে কলেজ মাঠেই ফেলে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলা বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক হোসনে আরা দিলসানকে গুরুত্ব না দিয়ে রসায়ন বিষয়ের জুনিয়র শিক্ষক নজরুল ইসলামকে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে পদন্নোতি দেয়ার জন্য চেষ্টা চালানো হয়। এর জন্য দুই লাখ টাকা বানিজ্য করার বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি নিয়ে জটিলতার কারণে ডিডি অফিসে এখনো ফাইল আটকে আছে।

জানা গেছে, কলেজে সহকারি লাইব্রেরিয়ান পদ একটি। বর্তমানে ওই পদে একজন কর্মরত রয়েছেন। তারপরেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আরেক জনকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একই পদে কলেজের একাংশের জমির মালিক শাহিনুর রহমানের চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছিলো। কথা দিয়ে কথা না রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাহিনুর। এছাড়া চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারি নিয়োগ দেয়ার কথা বলেও অগ্রিম টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগের নামে টাকা হাতানোর ঘটনায় কলেজ পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের মাঝে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে।

এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক জানান, শিক্ষকের পদন্নোতির বিষয়ে জটিলতা রয়েছে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। নিয়োগ ও নিয়োগের নামে বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চইলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। গাছ কাটার বিষয়ে অধ্যক্ষ জানান,মঙ্গলবার পরিচালনা পরিষদের আলোচনা সভায় রেজুলেশন করা হবে। কলেজের সভাপতি কামাল হোসেন হিরা জানান, সদর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তাকে জানিয়ে গাছ কাটা হয়েছে।

কামাল হোসেন হিরা আরো জানান, বিগত দিনে যখন কলেজে জেলা প্রশাসক সভাপতি ছিলেন। ওই সময় তিনি শাহিনুর রহমানকে চাকরি দিতে চাননি। আমি যখন সভাপতি হই। তখন শাহিনুরের চাকরির বয়স ছিল না। তাই তাকে চাকরি দেয়া যায়নি। তার দাবি, সহকারি লাইব্রেরিয়ান পদে এখনো কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।

যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, কলেজের গাছ কাটার বিষয়ে তাকে জানানো হয়নি।