যশোরের কেশবপুরে পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে বিধবার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে পুলিশ আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় ১৪ জুলাই বিধবা রহিমা বেগম বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। যার নং-১১।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর পৌর এলাকার সরফাবাদ গ্রামের মৃত মুছাব্দী সরদারের স্ত্রী রহিমা বেগমের ছেলে তরিকুল ইসলামকে পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় মঙ্গলকোট গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। দীর্ঘ দিনে সে পুলিশে চাকরি দিতে ব্যর্থ হলে ওই বিধবা মহিলা তার পাওনা টাকা ফেরৎ চায়। এ সময় স্বাক্ষীগণের সামনে আব্দুর রাজ্জাক তাকে ২ লাখ টাকা ফেরৎ দিলেও অবশিষ্ট ২ লাখ টাকা ফেরৎ দিতে তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে টাকা চাইতে গেলে আব্দুর রাজ্জাক তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল বিধবা রহিমা বেগম তার পাওনা টাকা ফিরে পেতে আব্দুর রাজ্জাককে বিবাদি করে কেশবপুর পৌরসভার মেয়রের কাছে একটি লিখিত অভিযোপত্র দাখিল করেন। পৌরসভার মেয়র পর পর ৩ বার আব্দুর রাজ্জাককে নোটিস করলেও তিনি হাজির না হলে অবশেষে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বাদিকে বিজ্ঞ আদালত/থানার শ্মরণাপন্ন হওয়ার জন্য প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিন বলেন, প্রতারক আব্দুর রাজ্জাক পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে বিধবার টাকা হাতিয়ে নেয়। তাকে প্রতারণা মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।