গ্রেফতার নয়, তদন্তের জন্যই মিন্নিকে আনা হয়েছে: এসপি

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি থেকে পুলিশে লাইনসে আনা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির তার সঙ্গে কথা বলছেন।

বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মামলার তদন্তের জন্যই আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে কথা বলা দরকার। সে জন্য তাকে পুলিশ লাইনসে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। মিন্নির সঙ্গে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরকেও পুলিশে লাইনসে আনা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তারা ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছেন। মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি ৩ জন এখনো রিমান্ডে রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ মামলার এজাহারভুক্ত ৫ জন আসামি পলাতক রয়েছে। তারা হলো- রিশান ফরাজী, মাসা (বন্ড), রায়হান, মুহায়মিনুল ইসলাম সিফাত ও মো. রিফাত।

তাদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বরগুনা থানার ওসি আবির মোহাম্মাদ হোসেন বলেন, তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য বরগুনাসহ সর্বত্র অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির চাচা আবু সালেহ জানান, মিন্নির বাবার বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১০ সদস্যের পুলিশ টিম এখনো অবস্থান করছে। সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিন্নিকে আনার জন্য নারী পুলিশের একটি দল মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের বাড়িতে যায়।

তিনি বলেন, পুলিশ মিন্নির পরিবারকে জানিয়েছিল- রিফাত হত্যা মামলার আসামিদের শনাক্ত ও মামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে পুলিশে লাইনসে যেতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের প্রধান গেটের সামনে ঘাতকেরা স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে।

গুরুতর আহত রিফাতকে এদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকাল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।