মুক্তিপণের দাবিতে যশোরে কলেজছাত্রকে পিটিয়ে জখম

মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত কলেজ ছাত্র নাইম হোসেনকে (১৯) পুলিশ উদ্ধার করেছে। অপহরনের সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ শাহরিয়ার হোসেন মিশ্র নামে একজনকে আটক করেছে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার সরকারি মুরগি খামার এলাকায় সারাদিন আটকে রেখে নাইমের উপর চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। নির্যাতনের শিকার নাইম হোসেন (১৯) যশোর সদর উপজেলার কাজীপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। সে ভাতুড়িয়া স্কুল এন্ড কলেজের এইচ এস সির প্রথম বর্ষের ছাত্র। এঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং-৪৬। তারিখ ১৮.০৭.১৯।

নাইমের বোন তানজিলা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নাইম, হেলাল নামে এক বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ভাতুড়িয়া থেকে নিজ বাড়ি বলাডাঙ্গা কাজিপুর যাচ্ছিল। নাইম ভাতুড়িয়ায় তানজিলা নামে তার এক বোনের বাড়ি থেকে পড়ালেখা করে। কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় পৌছে আফরিন পেট্রোল পাম্পে তেল নিচ্ছিল। এসময় শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে শাহরিয়ার মিশ্রর নেতৃত্বে একই এলাকার আনিসের ছেলে জিতু, হারুনের ছেলে ব্লাক মামুন, মামুনের ছেলে ইমন ওরফে ম্যানসেল, পিতা অজ্ঞাত বাবু, আশ্রম রোডের ধনুর ছেলে ডেনজার সোহাগ, একই এলাকার পিতা অজ্ঞাত বিজয়সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন অস্ত্রের মুখে নাইম ও হেলালকে অপহরন করে শংকরপুর মুরগির খামার এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর সন্ত্রাসীরা হেলালকে মারপিট করে ছেড়ে দিলেও নাইমকে ওই এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রাখে।

তানজিলা বলেন, সন্ত্রাসীরা সারা দিন নাইমকে আটকে রেখে তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। মুক্তিপণের দাবিতে সন্ত্রাসীরা নাইমের সমস্ত শরীরে ইট দিয়ে চাপা আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। পরে একটি মোবাইল থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করলে তারা বিকাশে ১০ হাজার টাকা পাঠায়।

টাকা পাঠানোর পর পুলিশকে জানালে সরকারি মুরগি খামার এলাকা থেকে নাইমকে রাত ১০টার দিকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ শাহরিয়ার হোসেন মিশ্র নামে একজনকে আটক করেছে। সে শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার গোলাম মোস্তফা ছেলে। এঘটনায় অপহৃত নাইমের ভাই রাহাত বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। কোতয়ালি থানার ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।