গণপিটুনির শঙ্কায় সাতক্ষীরায় ভিখারিদের হাতে পরিচয়পত্র

ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে হুজুগে মেতে গণপিটুনির শঙ্কা এড়াতে সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে পুলিশের ব্যাপক প্রচার। মাইকিং করে বলা হচ্ছে- ‘গণপিটুনি নয়, কাউকে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দিন। নিজ হাতে আইন তুলে নেবেন না।

এদিকে গণপিটুনির অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনারোধে সাতক্ষীরার ভিখারিরাও স্বেচ্ছা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। তারা নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখছেন।

বিভিন্ন কেজি স্কুলে যাতায়াতকারী শিশু ও তাদের অভিভাবকদেরও সচেতন করে তোলার কাজ চলছে।

জানা যায়, ভিখারিরা পৌর মেয়র কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরদের কাছ থেকেও বাড়তি পরিচয়পত্র অথবা নাগরিক সনদ সংগ্রহ করে সঙ্গে রাখছেন।

আকলিমা বেগম নামে এক ভিখারি বলেন, ‘বাপ বাঁচতি গেলি কার্ড রাখতি পারলি ভালো। শুনতিছি পিটায় মারতিছে। যেহানে যাই কার্ড নিয়ে যাতিছি’।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ বলেন, ‘জেলার সব থানা পুলিশের মাধ্যমে মাইকিং শুরু করা হয়েছে। কারও গতিবিধি সন্দেহজনক হলে নিকটস্থ পুলিশকে খবর দিতে বলা হয়েছে। তবে নিজ হাতে আইন তুলে নেয়া যাবে না’।

তিনি বলেন, আমরা স্কুল-কলেজে গিয়ে ক্লাস নিতে শুরু করেছি। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বিশেষ বিশেষ সময়ে পুলিশ নজরদারি করছে। স্থানীয়ভাবে প্রচারপত্র প্রকাশ, মসজিদে মুসল্লিদের সচেতন করে তোলা, স্থানীয় পত্রপত্রিকা, ফেসবুকে প্রচার ও স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচার চলছে।

তিনি বলেন, গুজব রটনা হলেও সাতক্ষীরায় এখনও এমন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।

গ্রাম থেকে শহরে এবং শহর থেকে গ্রামে নিত্য যাতায়াতকারী সাধারণ বাসিন্দারা বলেন, আমরাও পারলে কাছে পরিচয়পত্র রাখার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে সাধারণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী এভাবেই নিজের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।