বেনাপোলে ২০০ কেজি ভায়াগ্রা পাউডার আটক

ঘোষনা বহির্ভৃত ২০০ কেজি আমাদানি নিষিদ্ধ ভায়াগ্রা উৎপাদন পাউডার সহ অন্যান্য পন্য আটক করেছে বেনাপোল কাস্টমস। তবে পন্য আটকের প্রায় আড়াইমাস পর ওই পাওডার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে কাস্টমস। বুধবার বেলা ১১ টার সময় বেনাপোল কাস্টমস ক্লাবে কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, গোপন সাংবাদের মাধ্যমে খাদ্যের ফ্লেভার ঘোষনায় পাউডার ভায়াগ্রা আমদানি পন্যটি আটক করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। কাস্টমসের নিজস্ব পরীক্ষন এর অত্যাধুনিক ল্যাব রমন স্পেক্ট্রোমিটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির ব্যবাহার করা হয় পাউডার টেষ্টের জন্য। সতর্ক পরীক্ষা শেষে ফ্লেভার সঠিক পাওয়া গেলেও এর সাথে ২০০ কেজি ভায়াগ্রা উৎপাদন পাউডার আছে বলে রাসায়নিক পরীক্ষক দাবি করে। বার বার পরীক্ষা করে সেই রমন স্পেক্ট্রোমিটার পরীক্ষার একই রিপোর্ট আসে।

খাদ্যের ফ্লেভার ঘোষনায় পাউডার ভায়াগ্রা আমদানির আমদানিকারক ঢাকার কলাবাগান এর রেড গ্রীন ইন্টারন্যাশনাল। এলসি নং ২৯৬৬১৯০১০০৩৬, তারিখ ২/০৪/২০১৯। মেনিফেস্ট নং ১৩৬১৩ বিবি তারিখ ১০/০৪২০১৯, বিল অব এন্ট্রি নং সি ২৫৫৭৭৭ তারিখ ১৩/০৪/১৯ ঘোষিত ফ্লেভার ৫০০ কেজি। আড়াই মাস আগে গাড়িটি বেনাপোল বন্দর থেকে বের হওয়ার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করে পাওয়া যায় ওই গাড়িতে ফ্লেভার ৫০০ কেজি, সাদা পাউডার ২০০ কেজি, সিরিঞ্জ ১,৯৪০০০ পিস কামিজ ১০ পিস, সালোয়ার ৯পিস, থ্রী-পিস ৩৮ পিস, শার্ট ১৯ পিস, প্যান্ট ১২২ পিস। গাড়ি নং ( ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-৬৫৪১) পন্য খালাসের সিএন্ড এফ ছিল বেনাপোল বন্দরের আহাদ এন্টারপ্রাইজ। সিএন্ডএফ আহাদ এন্টার প্রাইজ এ ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে না পারায় লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে; এবং ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি টিম তৈরী করা হয়েছে।

কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ২৫ প্যাকেজ (৫০০ কেজি) খাদ্যে ফ্লেভার এর পন্য ছাড়া আমদানি কারক অন্য পন্য দাবি করছে না। এই মর্মে পন্য চালানের খালাসকৃত সিএন্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টারপ্রাইজ লিখিত ভাবে জানান পন্য চালানটির ওই আমদানিকৃত ৫০০ কেজি খাদ্য ফ্লেভার ছাড়া অন্য পন্য কিভাবে গাড়িতে লোড হলো সে বিষয় তারা জানে না। ট্রাক খালাসের জন্য আবেদন পাওয়া গেলেও অপঘোষিত পন্য কেউ দাবি করছে না। মুলত রমন স্পেক্ট্রোমিটার প্রাথমিক ভাবে ভায়াগ্রা সনাক্তের পর আর কেউ দাবী করছে না। সারা পৃথিবীতে কাস্টমস এসব পন্য উদ্ধারের জন্য সচেষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশে এই প্রথম বেনাপোল থেকে এই পন্য উদ্ধার করা হলো। তিনি বলেন, বিশ্বের সকল দেশের (ওয়ার্ল্ড কাস্টমস ওর্গানাইজেশ) কাস্টমসকে উদ্ধারের বিষয়টি জানানো হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার শহিদুল ইসলাম, ডেপুটি কমিশনার পারভেজ রেজা, সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা, ও দিপা রানী হালদার।