৫৩৬ জন অফিসার নিয়োগ দেবে জনতা ব্যাংক

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ক্যারিয়ার গড়তে যারা আগ্রহী তাদের জন্য সুসংবাদ। জনবল নিয়োগ দেবে রাষ্ট্রায়ত্ব জনতা ব্যাংক। (এইও-টেলর)’ পদে ৫৩৬টি শূন্য পদে নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি। এসব পদে সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া যথারীতি দেখভাল করবে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি।

আবেদনের যোগ্যতা : কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণির (সমমানের সিজিপিএ) চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর (সমমানের) ডিগ্রি থাকতে হবে। কোনো একাডেমিক পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ/জিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। এ পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য কম্পিউটার চালনায় ধারণা থাকতে হবে।

বয়সসীমা : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা প্রতিবন্ধী প্রার্থী ব্যতীত অন্য সব প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়স সর্বনিম্ন ২১ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩২ বছর। নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাসংক্রান্ত সরকারি নীতিমালা ও অন্যান্য বিধি-বিধান অনুসরণ করা হবে।

যেভাবে আবেদন : আবেদন করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগসংক্রান্ত ওয়েবসাইট (www.erecruitment.bb.org.bb) থেকে। প্রার্থীদের স্নাতক (সম্মান)/স্নাতকোত্তর পাসের ফলাফল প্রকাশের তারিখ অবশ্যই ২৪ মে ২০১৬ তারিখের মধ্যে হতে হবে। আবেদন করার সময় ফরম পূরণের নিয়ম ও অন্য শর্তাবলি ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে। ১৫ নভেম্বর ২০০৯ বা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিভি ব্যাংকে রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে না, সিভি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আবেদন করা যাবে। তবে নতুন আবেদনকারীদের আবেদনের আগে নিবন্ধন করতে হবে। প্রার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এসএসসি বা সমমানের সনদে যেভাবে লেখা আছে, অনলাইন ফরমে সেভাবে পূরণ করতে হবে। ফলাফলের ঘরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের প্রকাশিত পরীক্ষার ফলের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। আপলোড করতে হবে ৬০০ বাই ৬০০ পিক্সেল ও সর্বোচ্চ ৮০ কিলোবাইটের ছবি এবং ৩০০ বাই ৮০ পিক্সেল ও সর্বোচ্চ ৬০ কিলোবাইটের স্বাক্ষরের স্ক্যান কপি।

অনলাইনে আবেদন করার পর পাওয়া ট্র্যাকিং নম্বরসংবলিত ফরমটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থী হলে দেশীয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড থেকে ইস্যুকৃত সমমান সার্টিফিকেট এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত হলে দেশীয় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়/বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ইস্যুকৃত সমমান সার্টিফিকেট অনুযায়ী ডিগ্রি ও ফলাফলের (শ্রেণি/বিভাগ/জিপিএ/সিজিপিএ উল্লেখসহ) তথ্য প্রদান করতে হবে। বিবাহিত মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। চাকরিরত প্রার্থীরা তাঁদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদনক্রমে আবেদন করতে পারবেন। অসম্পূর্ণ/ভুল তথ্যসংবলিত দরখাস্ত কোনো প্রকার যোগাযোগ ছাড়াই বাতিল করা হবে।

বাছাই : প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। এ কারণে প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে কোনো কাগজপত্র পাঠাতে হবে না। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় এমসিকিউ পদ্ধতিতে। বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণে ১৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে। ইংলিশ থেকে ২০ আর গণিত থেকে ২০ নম্বরের প্রশ্ন আসে। বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে প্রশ্ন করা হয় ৩০ নম্বরের। আর কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি থেকে প্রশ্ন করা হয় ১৫ নম্বরের ওপর। সব বিষয় মিলে ৮০টি প্রশ্ন থাকে। তার জন্য নম্বর বরাদ্দ থাকে ১০০। তারপর লিখিত পরীক্ষা হবে তিনটি বিষয়ের ওপর সর্বমোট ২০০ নম্বরের। বাংলা, ইংলিশ ও গণিত থেকে প্রশ্ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে প্রার্থীদের সর্বশেষ মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নম্বর বরাদ্দ থাকে ২৫।

লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের পর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদনে উল্লিখিত তথ্যাদি ও সমর্থনে প্রয়োজনীয় দলিলাদি আহ্বান করা হবে। দাখিলকৃত দলিলাদির সঠিকতা যাচাই সাপেক্ষে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে দলিলাদি দাখিলের সময় তাঁদের নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ : ৪ আগস্ট ২০১৯ তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হবে।