গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার এএসআই বিল্লাল হোসেন বাণিজ্যে ফেঁসে গেছেন।
তাকে প্রত্যাহার করা হলো গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে। একই সঙ্গে এএসআই বিল্লালকে ফেরত দিতে হলো বিকাশে আনা ঘুষের টাকা ১২ হাজার।
শনিবার রাত ১১টার দিকে পূবাইল থানার হায়দরাবাদ এলাকার শেষ সীমানায় সুকুন্দিরবাগে তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে অন্যথায় মাদক মামলায় চালান দেয়া হবে বলে ভয়-ভীতি দেখান এএসআই বিল্লাল।
আটককৃতরা হলেন টঙ্গী পূর্ব থানার উত্তর দত্ত পাড়ার সিদ্দিক সরকারের ছেলে মহসীন (২৯), আবদুল ছালামের ছেলে রাজিবুল ইসলাম রতন (২৫), আবদুল মান্নানের ছেলে আল আমিন পাটোয়ারী রানাকে (২৬)।
এক ঘণ্টা বিভিন্ন সড়ক ঘুরিয়ে রাত ১২টায় দিকে পুবাইল থানার অনতিদুরে মিরেরবাজার তুরাগ ফিলিং ষ্টেশন পাম্পে নিয়ে তাদেরকে বিকাশ নাম্বার দিয়ে টাকা আনতে চাপ দেন।
এ সময় আটককৃতদের আত্মীয় পরিচয়ে নজরুল ইসলাম ফোন দিলে এএসআই বিল্লাল বলেন, ‘অনেক রাত হয়েছে বিকাশ নাম্বার দিয়েছি টাকা পাঠান আর নিশ্চিন্তে ঘুমান।’ উপায়ন্তর না দেখে বিকাশের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা দেয় এএসআই বিল্লাল হোসেনকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এএসআই বিল্লাল প্রায় ১ মাস আগে শাস্তিমূলক বদলীতে পুবাইল থানায় যোগ দেন। এর আগে গাছা মেট্রোপলিটন থানায় কর্মরত অবস্থায় গাজীপুর সিটির ৩৮নং ওয়ার্ডের বাহার মার্কেটের সামনে সাদা পোশাকে তল্লাশির নামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন তিনি।
সঙ্গে থাকা দুই সোর্স দৌঁড়ে পালিয়ে বাঁচেন সেই যাত্রায়। জনতার হাতে আটক বিল্লালকে ওই সময় স্থানীয় কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের সহায়তায় গাছা থানার পুলিশ বিক্ষুদ্ধ হাজারো জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে।
সেই সময় পুলিশ প্রশাসন স্ট্যান্ডরিলিজ করে তাকে পূবাইল থানায় পাঠান। কিন্ত তিনি পূবাইল এসেও আগের পথে হাঁটতে গিয়ে আবারও আটক বাণিজ্যে ঘুষের জালে ধরা খেলেন।
এএসআই বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আটককৃতদের ছেড়ে দিয়ে বিকাশে আনা টাকা ১২ হাজার ফেরত দিয়েছি। পূবাইল থানার ওসি নাজমূল হক ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কাজ চলছে। কর্তব্যের বাইরে গিয়ে বাণিজ্য মেনে নেব না, তাকে শাস্তির আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের সহকারী কমিশনার আশরাফুল ইসলাম জানান, এএসআই বিল্লালকে প্রত্যাহারাদেশ পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে তার পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।