কে হচ্ছে বাংলাদেশের কোচ?

BangladeshnCricket Board bcb

এবারের বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় স্টিভ রোডসের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে সম্পর্ক শেষ করে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার পর থেকেই কোচহীন বাংলাদেশের ক্রিকেট। মাঝে শ্রীলঙ্কা সফরে অন্তঃবর্তী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বোর্ডের একাধিক পদে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে এভাবে আর কত দিন?

আসছে সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট, তারপরই জিম্বাবুয়েকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আর তার কিছুদিন পর ভারত সফর। ব্যস্ত সূচির মাশরাফি সাকিবদের নতুন কোচ নিয়োগ দিতে মরিয়া বিসিবি। রোডসের শূন্যস্থান পূরণ করতে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বিসিবি। আগামী দুদিনের মধ্যেই প্রধান কোচের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে যাচ্ছে বোর্ড।

গতপরশু বিকেলে কোচ প্রার্থীদের সাক্ষাতকার নিতে বিসিবি সভাপতির বেক্সিমকো কার্যালয়ে মিলিত হয়েছিলেন বিসিবি পরিচালকরা। সেখানে কাদের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়েছে তা না জানালেও বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস দ্য জানিয়েছেন কোচ নিয়োগের হাল নাগাদ, ‘এমনকি আজকেও টেলিফোনে আমরা সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী আগামী দু-একদিনের মধ্যেই প্রধান কোচের নাম ঘোষণা করতে পারব।’

চলতি মাসে সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটার ও কোচ রাসেল ডমিঙ্গো সাক্ষাৎকার দিতে বাংলাদেশে আসেন। তার ব্যাপারে ইতিবাচক মন্তব্য এসেছিল বিসিবির তরফ থেকে। তবে রাসেলকে কোন পর্যায়ের কোচ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে তা রয়ে গেছে ধোঁয়াশায়।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের সাবেক কোচ মাইক হেসনের নাম জোরেশোরে শোনা গেলেও এই কোচ আছেন ভারতেরও কোচ হওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায়। টেলিকনফারেন্সে বিসিবি কাল পর্যন্ত কথা বলেছে আরও তিনজনের সঙ্গে, আজ একইভাবে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা আরেক কোচের। সব ঠিকঠাক হওয়ার আগ পর্যন্ত বিসিবি কর্মকর্তারা কারও নামই বলতে রাজি নন। তবে এখন পর্যন্ত হওয়া টেলিকনফারেন্সগুলো সম্পর্কে যেমন একটা ধারণা দিচ্ছিলেন বিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা, ‘আমরা মূলত দেখছি, বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে কার আগ্রহ বেশি। কাজটাকে শুধু চাকরি হিসেবে না নিয়ে কে মন থেকে ভালোবেসে আমাদের ছেলেদের নিয়ে কাজ করবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট কার আগ্রহের জায়গায় আছে, আমরা সেটিই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’

এখন পর্যন্ত যাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বিসিবির প্রত্যাশার সঙ্গে বেশি মিলছে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর চিন্তাভাবনা। ঈদের আগে ঢাকায় এসে দিয়ে যাওয়া প্রেজেন্টেশনেই নাকি বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি নিজের ভালোবাসা ও আগ্রহের ছবিটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন তিনি। হেসন তাঁর দাবিকৃত মোটা অঙ্কের বেতন থেকে সরে না এলে এবং বিসিসিআই নতুন কোচের নাম ঘোষণায় বিলম্ব করলে হতে পারে ডোমিঙ্গোই পেয়ে যাবেন বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব।

ডোমিঙ্গো এগিয়ে আছেন আরও একটি দিক দিয়ে। তাঁর এজেন্ট যে কাস্তভ লাহিড়ি! বিসিবির অনেক পরিচালকেরই খুব কাছের লোক কলকাতার এই ক্রিকেট এজেন্ট। আইসিএল-কাণ্ডের পর তাঁর নামটা বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিতর্কিতভাবে এলেও বিপিএলের শুরুতে তিনি টুর্নামেন্টটির সঙ্গে ভালোভাবেই ছিলেন। বিপিএল এবং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোকে খেলোয়াড় সরবরাহ করা থেকে শুরু করে সর্বশেষ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টকে পেস বোলিং কোচ করায়ও ভূমিকা আছে লাহিড়ির। ল্যাঙ্গেভেল্টের এজেন্ট তিনি। লাহিড়ি এক সময় কাজ করেছেন বিসিবির নবনিযুক্ত স্পিন পরামর্শক ডেনিয়েল ভেট্টোরির সঙ্গেও।