যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্যে ৫০০ পিচ ডিভাইচ দিয়েছেন পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু। বুধবার দুপুর আড়াই টায় মেয়রের কার্যালয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ লিটুর হাতে এ ডিভাইচ তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পৌর কাউন্সিলর সন্তষ দত্ত, গোলাম মোস্তফা, আজিজুল ইসলাম, রাসেদ আব্বাস রাজ প্রমুখ।
বুধবার ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২১ জন রোগী। যশোরের ৮ উপজেলায় ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। সকাল ৮ থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ৩০ রোগী ভর্তি হয়েছেন।
যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রমতে, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত জেলায় মোট ৭১৫ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৭৩ জন। আর বর্তমানে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৯ জন। সরকারি হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৪৯৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৮৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু জানিয়েছেন, ডেঙ্গু মোকাবেলাতে পৌরসভা সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। হাসপাতাল চত্তর পরিষ্কার রাখতে পৌরসভার পক্ষ থেকে সাফাই কর্মী দেয়া হয়েছে। তারা দিনে দু’বার হাসপাতাল পরিষ্কারের কাজ করছে। হাসপাতালের যে কোনো প্রয়োজনে পৌর কতৃপক্ষ সহযোগীতা করবে। সব বয়সের মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন তাদের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মন থেকে ডেঙ্গু ভয় দুর করতে হবে। ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। সভায় মানুষের বাড়ি-ঘড় এবং আশপাশের এলাকা বিশেষ করে কোনো পাত্রে বা ফুলের টবে জমে থাকা পানি, এয়ার কন্ডিশনার এবং রেফ্রিজারেটর থেকে নির্গত স্বচ্ছ পানি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করার বিষয়ে আহবান জানানো হয়।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ লিটু জানিয়েছেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের জন্যে হাসপাতাল কতৃপক্ষ সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার ডিভাইসও সংকট নেই। সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষেরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সহযোগীতা করছেন তার জন্যে তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।