যশোরের মণিরামপুরে মাঝিয়ালী মৌজায় মাহাবুবুর রহমান নাজিম নামে এক ব্যক্তির দখলি জমি বেদখলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, স্থানীয় কাশিপুর গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান নামে এক যুবক তার দলবল নিয়ে জোরপূর্বক নাজিমের দুই শতক ফসলি জমি দখলে নিয়েছে। শুধু জমি দখল নয়, জীবন নাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে তাকে। একমাস আগে থানায় দুই দফা অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ নাজিমের।
নাজিম জানান, মাঝিয়ালী মৌজায় ২৬ শতক ফসলি জমি গত একশ বছর ধরে তার বাপ-দাদা মালিকানা সূত্রে চাষাবাদ করে আসছিলেন। এখন উত্তারাধিকার সূত্রে সেই জমি পেয়েছেন তিনি। তার পাশেই আশিকুরদের এক বিঘার অধিক ফসলি জমি রয়েছে। কিন্তু পথ না থাকায় সরকারি রাস্তা থেকে নিজের জমিতে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই আশিকুরদের। রাস্তা থেকে নিজ জমিতে যেতে গেলে তাদেরকে নাজিমের জমির ওপর দিয়ে যেতে হয়। বহুআগে থেকে এভাবে চলে আসছিল। হঠাৎ করে গত ৯ আগস্ট দুপুরে আশিকুর তার দলবল নিয়ে নিজেদের জমির উত্তর পশ্চিম কোনায় রাস্তা সংলগ্ন নাজিমের দুই শতক জমি জোর পূর্বক দখলে নিয়ে ঘিরে দেন। তখনই থানায় অভিযোগ করেন নাজিম। অভিযোগের পরপরই এএসআই মোশারেফ হোসেন ও এএসআই আব্দুর রহমান সরেজমিন দেখতে ঘটনাস্থলে যান। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তারা দুই পক্ষকে থানায় হাজির হতে ২২ আগস্ট বিকেলে সময় বেধে দেন। ঠিক সময়ে নাজিম থানায় হাজির হলেও হাজির হয়নি আশিকুর।
নাজিমের অভিযোগ, জমি দখল নিয়ে থেমে থাকেননি আশিকুর। তাকে জীবন নাশের হুমকিও দিচ্ছেন তিনি। আতঙ্কিত হয়ে গত ১৪ আগস্ট তিনি থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। সেই ঘটনারও কোন তদন্ত হয়নি।
এসব বিষয়ে জানতে আশিকুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
এএসআই মোশারেফ হোসেন বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে মিমাংশা করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিবাদী পক্ষ হাজির না হওয়ায় সম্ভব হয়নি। নাজিমের জিডির বিষয়ে আদালতের আদেশে বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন কাটা হয়েছে।