ঘোপ জেলরোডের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে

jessore map

যশোর শহরের ঘোপ জেলরোডের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন বাদি। মামলা হওয়ার পর ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এখনো আটক হয়নি। আসামিরা প্রকাশ্যে বাদিকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিলেও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর শহরের ঘোপ জেলরোড বেলতলা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী ওই এলাকার খলিলের ছেলে জুয়েল, এশা, জেলরোড ধানপট্টির কালুর ছেলে আরিফ, নিউমার্কেট দীঘির পাড়ের দাদনের ছেলে জব্বার, শিক্ষা বোর্ড মার্কেটের শফিকুল ইসলামের ইজি বাইক পাটের্সের দোকান থেকে রাতে সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি দোকান মালিক সমিতিকে জানালে সন্ত্রাসীরা ক্ষুব্ধ হয়। মারার জন্য শফিকুল ইসলামকে খুজতে থাকে।
এর জের ধরে গত ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়ার চান মিয়ার ছেলে আলি আকবর (১৮), কামরান হোসেন (২৩) জেলরোড বেলতলা ওয়ালটন শোরুমের পাশে ইমরান অটোতে কাজ করার সময় সন্ত্রাসী জুয়েল, এশা, আরিফ, জব্বার তাদেরকে গালিগালাচ করে। আলী আকবর নিষেধ করলে সন্ত্রাসীরা ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে তাকে জখম করে। ইমরান হোসেন বাধা দিলে সন্ত্রারী তাকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। স্থানীয়রা দুজনকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আলী আকবরের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। এঘটনায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে চান মিয়াবাদি হয়ে ওই চার সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। কিন্তু মামলা করার পর ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা রয়ে গেছে এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে। পুলিশ তাদেরকে আটক না করায় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে মামলার বাদি চান মিয়া ও তার ভাই ইজি বাইক পাটর্স ব্যবসায়ি শফিকুলকে। সন্ত্রাসীরা লোকমারফত বলে বেড়াচ্ছে মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। আমরা এমপির লোক আমাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। এছাড়া আমাদের বড় ভাই (সাবেক ছাত্রলীগ নেতা) তো রয়েছে। বর্তমানে মামলার বাদি চান মিয়া ও তার ভাই শফিকুল নিরাপত্তা হীনতায় দিনকাটাচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় উপশহর ফাড়ি পুলিশের সাথে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের রয়েছে গভীর সখ্যতা। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমের উর্পাজিত অথের্র একটি অংশ ফাড়ি পুলিশকে দেয়া হয়। যে কারণে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়ালেও তাদেরকে আটক করা হয় না বলে স্থানীয় ব্যবসায়িরা অভিযোগ করেছেন। সন্ত্রাসীদের আটকের জন্য ব্যবসায়িরা উর্দ্ধতন প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।