মণিরামপুরে সন্ধ্যা কোচিং করতে গিয়ে শিক্ষক কর্তৃক মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষিত

jessore map

যশোরের মণিরামপুরে সন্ধ্যায় কোচিং করতে গিয়ে নিজ মাদরাসার শিক্ষক কতৃক দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ঝাঁপা দক্ষিণপাড়া মহিলা দাখিল মাদরাসায় এঘটনা ঘটে।

অভিযোগ করা হচ্ছে- মাদরাসার শিক্ষক নজরুল ইসলামের সহায়তায় অপর শিক্ষক তরিকুল ইসলাম কোচিং শেষে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। এঘটনার পর থেকে তরিকুল গা ঢাকা দিয়েছেন।

এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদরাসায় হামলা চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষক নজরুলকে মারপিট করেছেন। পরে তারা মাদরাসার সুপারকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
খবর পেয়ে বিকেলে মণিরামপুর থানা পুলিশ মাদরাসায় গিয়ে সুপার শাহাদাৎ হোসেনকে উদ্ধার করে। এরপর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। রাতে এই ঘটনায় থানায় মামলা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ছাত্রীর পিতাসহ এলাকাবাসী জানান, গত ১৫-২০ দিন ধরে ওই মাদরাসায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের সন্ধ্যা কোচিং চালু করেন কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন দুইজন করে শিক্ষক ১৫-১৭ জন ছাত্রীর কোচিং নেন। গত সোমবার কৃষি শিক্ষক তরিকুল ইসলাম ও সহকারী মৌলভী শিক্ষক নজরুল কোচিং করান। কোচিং শেষে সব শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরলেও ফেরেনি ওই ছাত্রী। এরপর রাত ৮টার দিকে স্বজনরা তার খোঁজে মাদরাসায় আসেন। তারা এসে মাদরাসায় কাউকে পাননি। একপর্যায়ে মাদরাসার টয়লেটের গলিতে গিয়ে ওই ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়া হয়। জ্ঞান না ফেরায় রাত দুইটার দিকে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে স্বজনরা ধরে নিয়েছিলেন, পিরিয়ডের জন্য হয়ত তার এমনটি হয়েছে।

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বুধবার বাড়িতে ফিরে ওই ছাত্রী পিতা-মাতাকে সব খুলে বলে। পরে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার মাদরাসায় হামলা চালায়।

মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, ছাত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে কোচিং শেষে মাদরাসার শিক্ষক তরিকুল তাকে ধর্ষণ করেছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।

মণিরামপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রাকিব হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতে এই ঘটনায় মামলা হবে।