৬ষ্ঠ দিনের মতো মানববন্ধনে রাবি দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষক সমাজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসনকে দুর্নীতিবাজ উল্লেখ করে অপসারণের দাবিতে ৬ষ্ঠ দিনের মত মানববন্ধন করেছে ‘রাবি দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজ’। সোমবার বেলা ১১টায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।

এর আগে পঞ্চম দিনের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের অপসারণ না করা পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন তাঁরা।

মানববন্ধনে ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজার সঞ্চালনায় পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, দেশের বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা-দুর্নীতি এক সঙ্গে চলতে পারে না। আমরা চাই, পঠন-পাঠনে প্রতিযোগীতা হোক, নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ হোক, এ বিশ^বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ফিরে পাক। জাতির সামনে শিক্ষকের মর্যাদা নিয়ে বাচঁতে চাই। ক্যাম্পাসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জোয়ার উঠেছে সেটা জড়িতদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

শরীর চর্চা শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো.কামরুজ্জামান ”ঞ্চল বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। ঠিক সে সময়ে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে ছেয়ে গেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কথা বললেই রক্তচক্ষু ও বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় বর্তমান প্রশাসন।

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক সভাপতি ড. শহিদুল ইসলাম প্রো-ভিসির দুর্নীতি উল্লেখ করে বলেন, আইন বিভাগের নিয়োগ বাণিজ্যসহ নেদারল্যান্ডের ঘাস লাগানোর নামে ঘাস উঠিয়ে আবার ঘাস লাগিয়ে প্যারিস রোডে ফুটপাত বানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ৮০লক্ষ টাকা আতœসাৎ করেছেন। সেটা শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও ইউজিসির নিকট সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আইন অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক বিশ^জিৎ চন্দ্র, সাবেক প্রক্টর প্রফেসর ড. মুজিবুল হক আযাদ খান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক প্রক্টর তরিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সাবেক প্রশাসক ড. সফিকুন্নবী সামাদী, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম হায়দার, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ড. মো. জিন্নাত আরা বেগম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশাবুল হক, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান, প্রাণ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এস এম এক্রাম উল্যাহ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, রাবি ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান এক সেমিনারে বক্তব্য শেষে জয় হিন্দ শব্দযুগল উচ্চারণ ও প্রো-ভিসি চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার সাথে চাকুরী প্রত্যাশীর ফোনালাপ ফেসবুক ও গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর গত ৩ অক্টোবর থেকে বর্তমান প্রশাসনের ভিসি ও প্রো-ভিসির অপসারণ চেয়ে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।