স্ত্রীর সহায়তায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে চার মাসের অন্ত:সত্ত্বা করেন ঘের ব্যবসায়ী

jessore map

যশোরের মণিরামপুরে ১৩ বছর বয়সী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ভগিরাত বিশ্বাস (৪৫) নামে এক ঘের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ করা হচ্ছে, স্ত্রীর সহায়তায় তিনি তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ভগিরাত এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

ভগিরাত উপজেলার কপালিয়া রাজবংশী পাড়ার মৃত রঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে। আর মেয়েটি পাশ্ববর্তী অভয়নগর উপজেলার কালিশাকুল গ্রামের। সে স্থানীয় একটি প্রতিবন্ধী স্কুলের ছাত্রী।

জানাযায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা বেঁচে নেই। তার মাও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে অবস্থিত প্রতিবন্ধী স্কুলের ছাত্রী সে। ভগিরাত সম্পর্কে তার পাড়া প্রতিবেশী কাকা। ভগিরাতের স্ত্রী ময়না বিশ্বাস প্রায়ই মাছ, তরকারি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে আসত তাকে। তার অসহায়তায় ভগিরাত কিশোরীকে নিজের ঘরে ও ঘের পাড়ে টং ঘরে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

কিশোরীর এক কাকী জানান, কয়েকদিন ধরে মেয়েটি খাবার খাওয়ার পর বমি করছিল। আমাদের সন্দেহ হলে প্রাথমিক টেস্ট করে জানতে পারি সে অন্তঃসত্ত্বা। চলতি মাসের ১২ তারিখ তাকে খুলনায় একটি ক্লিনিকে নিয়ে পরীক্ষা করালে সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান ডাক্তার। লোক লজ্জার ভয়ে আর মেয়ের কথা চিন্তা করে তার বাচ্চা নষ্ট করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে দুই পক্ষ ঘরোয়াভাবে বৈঠকে বসেন। সেখানে মেয়েটিকে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। টাকা দেবেন না বলে ভগিরাত বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানা গেছে।
আর অসহায় হওয়ায় এই ঘটনায় পরিবারটি মামলা করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ভগিরাতের বক্তব্য জানা যায়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কার্তিক বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি সত্য। কিন্তু ভগিরাত আগে মণিরামপুরের লোক হলেও গত ৭-৮ বছর ধরে অভয়নগর উপজেলার বাসিন্দা সে। তাই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাইনি।

তবে মনোহরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান বলেন, ভগিরাত মনোহরপুর ইউনিয়নের ভোটার। প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের ঘটনাটি সত্য। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হবে।

এই বিষয়ে জানতে স্থানীয় মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের কোন ঘটনা থানায় কেউ জানায়নি।