‘বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির স্থাপনের রায় চরম পক্ষপাতমূলক’

বাবরি মসজিদ মামলা বা অযোধ্যা মামলায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির, দারুল উলূম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

র‌োববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা চরম পক্ষপাতমূলক। মূলত ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারকে খুশি করতে এ রায় দেয়া হয়েছে। মুসলিম বিশ্ব এ রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আল্লামা শফী বলেন, ‘বাবরি মসজিদের বিতর্কিত মামলার পক্ষপাতমূলক রায় এমন সময় দেয়া হলো, যখন ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠী হিন্দুদের হাতে চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। গোমাংস ভক্ষণ ও জয়শ্রীরাম না বলায় পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। আমি মনে করি, এ রায়ে হিন্দুদের খুশি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কট্টর হিন্দুদের উগ্রতা আরও বেড়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ১৫২৮ সালে বাবরি মসজিদ তৈরি করেন মোঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি। ওই স্থানে কথিত ও কল্পিত রামমন্দির থাকার অজুহাতে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উগ্রবাদী হিন্দুরা বাবরি মসজিদে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে শতশত মুসলমানকে শহীদ করা হয়। মুসলিম বিশ্ব সে ক্ষত এখনেও ভুলেনি।

হেফাজত আমির বলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফী আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ববিদগণের বহুবার অনুসন্ধানের পরও সেখানে কোনো মন্দিরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপরও বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির স্থাপনের অযৌক্তিক রায় দেয়া হলো।’

‘আমাদের আশঙ্কা এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চরম অবনতি হবে। এই মুহূর্তে বাবরি মসজিদ ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বকে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা এবং ভারতীয় মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো উচিত’,- বলেন আল্লামা শফী।