পাঁচ দিনের মধ্যেই আসছে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ

আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে আকাশপথে আসছে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ। উড়োজাহাজে করে আনা এই পেঁয়াজ ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন আব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে। আনার খরচ যা-ই পড়ুক না কেন, সরকার এ ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেবে।

সচিবালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য জানান। বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিদেশে একটি সম্মেলনে গিয়ে নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগেই দেশে ফিরে এসেছেন জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ মজুত রয়েছে, যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে এবং দেশীয় পেঁয়াজ যেভাবে বাজারে আসতে শুরু করেছে, তাতে বলা যায় যে সামনে কোনো সমস্যা হবে না।

টিপু মুনশি জানান, আজ ২০ নভেম্বর থেকে ২১, ২২ ও ২৫ নভেম্বর পাঁচটি আলাদা উড়োজাহাজে করে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসছে। এ ছাড়া সমুদ্রপথেও এসে যাচ্ছে আরও ১২ হাজার টন। তিনি জানান, মিসর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ সৌদি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে করে আসছে। কাল বৃহস্পতিবার আসবে পণ্য বহনকারী (কার্গো) পেঁয়াজভর্তি উড়োজাহাজ। বাকি দুই দফার মধ্যে একটি আসছে শুক্রবার টার্কিশ এয়ারলাইনসে, অন্যটি সৌদি এয়ারলাইনসে সোমবার।

চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের মাধ্যমে আনা প্রথম চালানের পেঁয়াজের পরিমাণ ১ হাজার ৯২৫ টন। গত রাত একটায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই পেঁয়াজ এসে পৌঁছানোর কথা।

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ তিন দিন আগে জানিয়েছিলেন, আকাশপথে ধারাবাহিকভাবে পেঁয়াজের চালান এনে তা টিসিবির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ভারত গত ২৯ সেপ্টেম্বর রপ্তানি বন্ধ করার পর ৫০ দিন পার হয়ে গেছে, এখন কেন তোড়জোড় করে উড়োজাহাজের মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে? সংকট বুঝতে এত সময় লাগার দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘ভারতের পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয়েছিল ২৪ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের পর রপ্তানির দ্বার তারা খুলে দেবে। পরে সেটি আর হয়নি। এরপরই আমরা অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার সিদ্ধান্ত নিই।’

এদিকে পাবনার বেড়া থেকে প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুরের পর সাঁথিয়া উপজেলার করমজা হাট ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। দাম না পেয়ে বিক্রেতারা পেঁয়াজ ফেরত নিয়ে গেছেন। এই হাটে গতকাল সকালে পেঁয়াজ কেনাবেচা হয় ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে। নতুন পেঁয়াজ কেনাবেচা হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে।