‘২০২৪ সালের আগেই সব অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেবে ভারত’

omit saha

অনুপ্রবেশকারীদের ভারত থেকে বের করে দেয়ার একটি সময়সীমা বা ডেডলাইন নির্ধারণ করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের তাড়াতাড়ি ভারতীয় নাগরকিত্ব দেয়ার বিষয়ে ভারতের পার্লামেন্টে বিতর্ককে সামনে রেখে এমন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি।

সোমবার ঝাড়খন্ড রাজ্যে এক নির্বাচনী সভায় তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। এতে অমিত শাহ বলেছেন, ২০২৪ সালের আগেই ভারত থেকে সব অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেবে সরকার। এ সময়ে ভারতজুড়ে নাগরিকপঞ্জি করণ ও ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ বের করে দেয়া নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরোধিতার সমালোচনা করেন তিনি। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন হিন্দুস্তান টাইমস।

‘অমিত শাহ সেটস এ ডেডলাইন টু এক্সপেল ইনফিলট্রেটরস ফ্রম কান্ট্রি, টার্গেটস রাহুল গান্ধী’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ঝাড়খন্ড রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে ৫ দফায়। এই নির্বাচনী প্রচারণায় অমিত শাহ সেখানে গিয়েছিলেন।

এ সময়ে তিনি সারা ভারতে নাগরিকপঞ্জি করার ওপর জোর দেন। তবে নাগরিকপঞ্জি বাস্তবায়ন নিয়ে তার দল ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে তীব্র বিরোধিতা রয়েছে। ঝাড়খন্ডের পূর্ব সিঙ্গভূম জেলার বাহারাগোরা শহরে ওই মিটিংয়ে অমিত শাহ প্রশ্ন রাখেন, এই দেশ ও ঝাড়খন্ড থেকে কি অনুপ্রবেশকারীদের বের করে দেয়া উচিত নয়?

তিনি আরো বলেন, কিন্তু ‘রাহুল বাবা’ নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করছেন। রাহুল বলছেন, এদেরকে (অনুপ্রবেশকারী) বহিষ্কার করবেন না। তারা কোথায় যাবে, কি খাবে। অমিত শাহ প্রশ্ন করেন, তাহলে রাহুলকে বলা উচিত তিনি আসলে কি চান।

অমিত শাহ বলেন, আমি এখানে এসেছি আপনাদেরকে নিশ্চিত করতে যে, ২০২৪ সালের আগেই আমরা এই দেশ থেকে প্রতিজন এবং প্রতিটি অনুপ্রবেশকারীকে বহিষ্কার করবো।

ওই মিটিংয়ে ঝাড়খন্ড রাজ্যে রাঘুবর দাসের সরকার ও কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের অর্জনগুলো তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, এ নিয়ে আমি বলেই যেতে পারবো।
এ সময় তিনি কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরেন। বলেন, এখন কাশ্মীরিরা ভারতীয় হিসেবে অভিহিত হবেন। এ ছাড়া এ সরকারের আমলে অযোধ্যায় বিরোধের সমাধান দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
তিনি সারা ভারতে নাগরিকপঞ্জি করার ওপর জোর দেন। এরই মধ্যে ভারতে প্রথম রাজ্য হিসেবে আসামে নাগরিকপঞ্জি করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে। ফলে আসাম খাঁটি নাগরিকদের একটি তালিকা পাবে। এর উদ্দেশ্য মুসলিম সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের টার্গেট করা নয়।