‘ন ডরাই’ সিনেমার প্রদর্শণী বাতিল ও তুলে নিতে হাইকোর্টের রুল

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং অনৈতিকতার অভিযোগ তুলে ‘ন ডরাই’ সিনেমার প্রদর্শনী বাতিল এবং বাজার থেকে সিনেমাটি তুলে নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের প্রাথমিক শুনানিশেষে এই রুল জারি করেন।

আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, ছবিটির প্রযোজক মাহবুব রহমান, পরিচালক তানিম রহমান অংশু ও চিত্রনাট্যকার শ্যামল সেনগুপ্তকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জুলহাস আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. হুজ্জাতুল ইসলাম।

আইনজীবী মো. হুজ্জাতুল ইসলাম বলেন, এই সিনেমার প্রধান চরিত্রের সঙ্গে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর স্ত্রী হযরত আয়শা (রা)-এর মিল রাখা হয়েছে। হযরত আয়শা (রা.) ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কাছে পবিত্র ও সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে নিয়ে কোরআনে বলা হয়েছে, তিনি বিশ্বাসীদের মা। সিনেমার মূল নায়িকার সঙ্গে হযরত আয়শার নাম ব্যবহার করে অশ্লীল দৃশ্যধারণ করা হয়েছে, যা মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাতের শামিল।

শুধু তাই নয়, কমিক বই ও অ্যানিমেটেড ভিডিও থেকে এই সিনেমাটি তৈরি করা, যা খুবই আপত্তিকর। সস্তা বাজার পাওয়ার জন্য পরিচালক মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা করেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। চলচিত্র সেন্সরবোর্ড সিনেমাটি প্রদর্শনের অনুমতি দিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছে।

এর আগে গত ৪ঠা ডিসেম্বর ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে সেন্সর বাতিল ও প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিমকোর্টের এই আইনজীবী। নোটিশে ন ডরাই ছবির মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং হযরত আয়শা (রা.)-কে অপমান করায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানানো হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিব, প্রযোজক মাহবুব রহমান, পরিচালক তানিম রহমান অংশু, সংলাপ রচয়িতা শ্যামল সেন গুপ্তসহ পাঁচজনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়।