নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে বিজেপি ছাড়ছেন সাবেক মন্ত্রী

ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পাস হওয়ার প্রতিবাদে ক্ষমতাসীন বিজেপি থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর।

বৃহস্পতিবার তার শক্তিপুরের বাড়িতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে দলেই থেকেছি মুর্শিদাবাদের মানুষ আমায় ভালোবেসে পাশে থেকেছেন। কিন্তু নাগরিকত্ব বিল সেই সব মানুষের স্বার্থে খাঁড়ার মতো নেমে আসছে। তাই বিজেপি-তে আর থাকব না।’

এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আসামের রাজধানী গোহাটিতে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নামেন হাজারও জনতা।

এ সময় উত্তেজিত জনতাকে থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

তবে বিতর্কিত এই বিলের বিরুদ্ধাচারণের তালিকায় যে বিজেপির কোনো নেতা থাকতে পারেন, দলের শীর্ষ নেতারা তা ভাবতেও পারেননি।

তাই পদত্যাগের খবর পেয়ে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সাবেক মন্ত্রী হুমায়ুনকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, তাড়াহুড়ো করো না, ভেবে দেখো)!’

বিজেপির মুর্শিদাবাদ (দক্ষিণ) জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলছেন, ‘আমাকে এখনও দলত্যাগের ব্যাপারে কিছু তো জানাননি। আসলে হুমায়ুন বিজেপিকে বুঝতে পারেননি।’

হুমায়ুন অবশ্য বলেন, ‘না বোঝার কিছু নেই। রাজনীতিতে থাকতে হলে মানুষের স্বার্থ নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারব না।’

এর আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে পা বাড়িয়েছিলেন হুমায়ুন। যোগ দিয়েই পেয়েছিলেন মন্ত্রিত্ব। তবে ঠোঁটকাটা হুমায়ুন দলের তদানীন্তন জেলা পর্যবেক্ষকের সম্পর্কে ‘বিরূপ’ মন্তব্য করায় দল তাকে ছেঁটে ফেলেছিল।

২০১৬’র বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে সামান্য ভোটে হেরে গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে। পরের বছরে পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরলেও ২০১৮ সালে ফের দল বদলে পা বাড়িয়েছিলেন বিজেপিতে।

গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীও হয়েছিলেন এবং সব হিসেব উল্টে দিয়ে সংখ্যালঘু ভোটের সিংহভাগই নিজের ভোট বাক্সে টেনে এনেছিলেন বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। সূত্র: আনন্দবাজার।