ক্রিকবাজের দশক সেরা ওয়ানডে দলেও সাকিব

shakib

বিশ্লেষকদের মতে, গত এক দশকে ক্রিকেটে সবচেয়ে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। আর টাইগারদের এই উন্নতি এসেছে সাকিব, তামিম, মুশফিক কিংবা মাশরাফিদের হাত ধরে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়ে দারুণ অবদান রাখায় সাকিব আবার এগিয়ে গেছেন অন্যদের থেকে।

এই দশকটা ক্রিকেটার সাকিবকে দিয়েছে দু’হাত ভরে। এক দশকের বড় সময় ধরে তিনি ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকায় আছেন। তিন ফরম্যাটে সেরা অলরাউন্ডার হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। শুধু বছরের শেষটায় এসে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন করার বিতর্ক লেগে গেছে তার গায়ে।

তারপরও উইজডেনের দশক সেরা ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন সাকিব। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দশক সেরা একাদশে আছেন তিনি। এবার ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজের দশক সেরা একাদশে জায়গা পেলেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।

ক্রিকবাজের দশকসেরা একাদশ:

ওপেনিং: এই দশকে ওপেনার হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন রোহিত শর্মা এবং হাশিম আমলা। তারা তাই ক্রিকবাজের সেরা একাদশের ওপেনার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন। রোহিত শর্মা তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। আর আমলা ওয়ানডেতে দ্রুততম দুই থেকে সাত হাজার রান করেছেন।

মিডল অর্ডার: ক্রিকবাজের ওয়ানডে একাদশে অনুমিতভাবেই আছেন বিরাট কোহলি। তার সঙ্গে রস টেইলর এবং এবি ডি ভিলিয়ার্সকে রাখা হয়েছে। কোহলি ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪২ সেঞ্চুরি করেছেন। ভিলিয়ার্স রান তুলেছেন ৬৪ গড়ে। আর রস টেইলর এই দশকে মিডল অর্ডারে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

অলরাউন্ডার: ক্রিকবাজের একাদশে একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন সাকিব আল হাসান। একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে এই দশকে চার হাজারের ওপরে রান করেছেন এবং ১৭৭ উইকেট নিয়েছে তিনি।

উইকেটরক্ষক: ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো ধোনির জায়গা হয়নি দশক সেরা একাদশে। ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া জস বাটলার সেটি দখল করে নিয়েছেন। ক্রিকবাজের মতে, এটা সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। বাটলারকে বেছে নেওয়া হয়েছে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ক্রিকেটের ধরণ বদলে দেওয়া ব্যাটিংয়ের জন্য।

স্পিনার: দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির দশক সেরা স্পিনার হিসেবে ক্রিকবাজের একাদশে আছেন। ক্রিকবাজের মতে, এই দশকে ওয়ানডে ক্রিকেটে তার হাত ধরে লেগ স্পিনার আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এই দশকে স্পিনার হিসেবে ১৩ বার তিনি চার বা ততোধিক উইকেট নিয়েছেন।

পেসার: শ্রীলংকাকে ওয়ানডে এবং টি-২০ বিশ্বকাপে তোলা। টি-২০ বিশ্বকাপ জেতা, স্লগ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করা, দ্বিপাক্ষিক এবং আইসিসির টুর্নামেন্টে ভালো করার জন্য একাদশে আছেন মালিঙ্গা। মিশেল স্টার্কও ঠিক একই কারণে আছেন একাদশে। বড় টুর্নামেন্টে দারুণ সফল তিনি। ট্রেন্ট বোল্ডও দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছেন। তাকে একাদশে নেওয়া হয়েছে নতুন বলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারা দক্ষতার কারণে।