যশোরের মণিরামপুরে চার স্তরের সরকারি ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে ভাতাভোগীদের তালিকা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) উপজেলার কাশিমনগর ইউপি চত্বরে এই কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম। ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আহাদ আলী, ইউনিয়নের সংরক্ষিত তিন নারী সদস্য এবং নয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও প্রতিবন্ধীভাতার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি করার ক্ষেত্রে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর ও তাদের অনুসারীদের বিরুদ্ধে অনেক পুরোনো। সেই প্রথার পরিবর্তন ঘটাতে সরকার এই পদ্ধতি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে বাছাইয়ের ফলে বিনা টাকায় এবং হয়রানিমুক্ত পরিবেশে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম তালিকাভুক্ত হবে বলে আশাবাদী সকলে।
বয়স্কভাতা পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে আসা কাশিমনগর গ্রামের বয়বৃদ্ধ আকছির কাজী বলেন, ভাতার জন্য মেম্বরসহ অনেকের কাছে বহুবার ঘুরেছি। মেম্বর দেব বলে আর দেয়নি। এবার ভাতার তালিকায় নাম ঢুকবে বলে আমি আশাকরি।
ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আহাদ আলী বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে সমাজের বিত্তবান অনেকেই ক্ষমতার জোরে নিজেদের স্বজনদের নাম ভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করান। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে অন্তত তারা আর লাইনে দাঁড়িয়ে নাম দিতে পারবে না। অবশ্যই এই পদ্ধতি প্রশংসার দাবিদার।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের অতিরিক্ত বরাদ্দপ্রাপ্ত বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও প্রতিবন্ধী সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে কাশিমনগর ইউনিয়নের ১৭৩ কার্ডের বিপরীতে যাচাইবাছাই করে কয়েকশ’ আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে উপজেলার বাকি ইউনিয়নগুলোতে একইভাবে আবেদন গ্রহণ করা হবে। মূলত ভাতাভোগীদের তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।