দুই প্রার্থী কেন্দ্রের ভেতরে, বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

সোমবার সকালে এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থীই এ সময় কেন্দ্রের ভেতরে ছিলেন।

জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট মোড়ে অবস্থিত এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে থেকে একটু পর পর ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। তবে এর পরও ওই কেন্দ্রে সকাল ৯টায় ভোট শুরু হয়।

এর পর সোয়া ৯টার দিকেও আরও একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গেছে। এ সময় সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থীই কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান করছিলেন।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এ আসনের ১৭০ কেন্দ্রের সবগুলোতেই ভোট হচ্ছে ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) মাধ্যমে।

নির্বাচনে ছয় প্রার্থী অংশগ্রহণ করলেও শেষ পর্যন্ত মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান যথাক্রমে নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থী।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান সোমবার বলেন, খুব সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় টহল দিচ্ছে।

এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ভোটাররা যাতে নিজের ভোট নিজের পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পারেন, তা তারা নিশ্চিত করছেন।

গত বছরের ৭ নভেম্বর ভারতে চিকিৎসাধীন এই আসনের সংসদ সদস্য জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনউদ্দীন খান বাদল মারা যাওয়ায় চট্টগ্রাম-৮ আসনটি শূন্য হয়। এর পর ১ ডিসেম্বর এ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

আসনটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭নং ওয়ার্ড এবং বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল, পশ্চিম ও পূর্ব গোমদণ্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী, পোপাদিয়া, চরণদ্বীপ, আমুচিয়া ও আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২২ ও নারী ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন। শুধু বোয়ালখালী উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার।