মাত্র ৩ ঘণ্টায় কোটিপতি এই গাড়িচালক!

ভাগ্য পরিবর্তন হতে যে সময় লাগে না সেটা আরও একবার দেখা গেল। তাও মাত্র তিন ঘণ্টায়। আর এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় এক গাড়িচালক কিনা লাখপতি নয়, কোটিপতি বনে গেলেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর, সন্ধ্যাবেলায় লটারির টিকিট কেটেছিলেন। তিন ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাত ৯টায় হয়ে গেলেন কোটিপতি। পেশায় গাড়ি চালক রূপেশ কোনও রকমে সংসার চালাতেন। সকালেও গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু রাতে তিনি ফিরলেন কোটিপতি হয়ে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে এখন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন তিনি।

মাঝে মাঝে লুকিয়ে লটারির টিকিট কিনতেন গলসির ম্যাক্স চালক শেখ রূপেশ। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে সন্ধ্যাবেলায় কিনেছিলেন টিকিট। তাতেই মিলল এক কোটি টাকা। বিকেলে গলসি বাজারে ফল কিনছিলেন। ফলের দোকানের পাশেই ছিল লটারির দোকান ৷ ওই সময় ২০০ টাকা পটেকে ছিল তার। তা থেকে তিনি ৬০ টাকা দিয়ে দুটি সিরিজ ডিয়ার ইভিনিং লটারি কিনে ফেলেন। রাত ৯টার পর পর জানতে পারেন ওই দুটির মধ্যে একটি টিকিটে তিনি এক কোটি টাকা পেয়েছেন। রাত থেকে সুরক্ষার জন্য তিনি চুপচাপ থাকেন। কিন্তু সকালে হতেই তিনি বর্ধমানের স্টেট ব্যাংকের মেন শাখায় যোগাযোগ করেন এবং সেখানে জমা দেন তার ওই টিকিট। তারপর বেলা একটার সময় গলসির ইন্ডিয়ান ব্যাংকে যোগাযোগ করেন তার অ্যাকাউন্টে টাকা নেওয়ার জন্য। সঠিক কত টাকা পাবেন তা তিনি এখনও জানতে না পারলেও ষাট টাকার টিকিটে বদলে যেতে চলেছে তার ভাগ্য ৷
রূপেশ গলসিতে সরকারি এক রেশন ডিস্ট্রিবিউটারের গাড়ি চালান। সপ্তাহের অধিকাংশ দিন রেশন সামগ্রী এলাকার রেশন ডিলারদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। এই কাজে মাসে ৭ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। বাড়িতে স্ত্রী, কন্যা, মা, বাবা ও ভাইকে নিয়ে তার অভাবের সংসার। বাবা দিনমজুরের কাজ করে তাদের মানুষ করেছেন। তবে বর্তমানে রূপেশ ও তার ছোট ভাই শেখ আনারুল গাড়ি চালিয়ে তাদের সংসার চালাতো। দু’জনের উপার্জন থেকে কোনক্রমে সংসার চলত। স্ত্রী ও মালিক দিলীপ রায়কে সঙ্গে নিয়ে এদিন ব্যাংকে আসেন রূপেশ।

রূপেশ জানান, অভাবের সংসারে এই টাকা খুবই উপকারে আসবে। আপাতত একটি বাড়ি তৈরি ও কিছু জমি কেনার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান তিনি।