নদীতে পানি খেতে নামা বাঘের অর্ধেক দেহ খেয়ে ফেলল কুমির

সুন্দরবন থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা বাঘটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শরণখোলায় উপস্থিত হয়ে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জি এম আব্দুল কুদ্দুস বাঘটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।

এসময় শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন শরণখোলার সহকারী বন সংরক্ষক জয়নুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কবরখালী খালের চর থেকে বাঘটির মরদেহ উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটির অর্ধেক অংশ কুমিরে খেয়েছে ও বাকি অংশ পচে গেছে। এ অবস্থায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জয়নুল আবেদীন জানান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, শরণখোলা রেঞ্জের কবরখালি খালে টহলের সময় কুপিলমনির টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা সোমবার বিকেলে খালের চরে বাঘটির মরদেহ দেখতে পায়। প্রায় ২০ বছর বয়সি বাঘটির মরদেহের পেছনের অংশ কুমিরে খেয়েছে। সেখান থেকে বাঘের বাকি অংশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে বাঘটি বার্ধক্যজনিত কারণে নদীর পাড়ে পানি খেতে নেমে আর সেখান থেকে উঠতে পারেনি। মরদেহটি পচে গন্ধ আসছিল। পরে ঊর্ধ্বতন বন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের পর শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের পাশে মৃত বাঘটি মাটিচাপা দেয়া হয়।

সকলের সামনে মৃতবাঘটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত বাঘটির শরীরের অধিকাংশ পচে গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাবার পর বাঘটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।