আকবরের হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে এতো যন্ত্রণা!

বাংলাদেশকে তিনি উপহার দিলেন দারুণ এক ট্রফি। যে ট্রফির স্বাদ পেতে বহু বছর ধরেই অপেক্ষা করছিল কোটি কোটি ক্রিকেটামোদী। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের মতোই স্বপ্ন দেখেছিলেন আকবর আলীও। তিনিই বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

যে কোন পর্যায়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে বিশ্বজয়ের সাফল্য এনে দেয়ার কারিগর আকবর আলী। ট্রফি হাতে মুখে চওড়া হাসি তার। কে বলবে, স্বজন হারানোর ব্যথা বুকে নিয়েই বিশ্বকাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি?

হাজার মাইল দূরে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন বিশ্বকাপ খেলতে। গত ১৮ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই ৯ উইকেটের বড় জয় আকবর আলীর দলের। ২১ জানুয়ারি পরের ম্যাচে স্কটল্যান্ডও পাত্তা পেল না। ২০০ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ।

টানা দুই জয়ে উৎফুল্ল দল, অধিনায়ক হিসেবে আকবরও ভীষণ খুশি। এমন সময়ে দেশ থেকে এলো দুঃসংবাদ। ২২ জানুয়ারি তার একমাত্র বোন খাদিজা খাতুন চলে গেছেন না ফেরার দেশে। যমজ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান তিনি।

স্বজন হারানোর ব্যথায় মুষড়ে পড়াটা স্বাভাবিকই ছিল আকবরের জন্য। কিন্তু আকবর ভেঙে পড়লেন না। শোককে শক্তিতে পরিণত করলেন। অপরাজিত থেকেই ইতিহাস গড়লেন আকবর আলী। ঘরে তুললেন আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ট্রফি। ফিরলেন বিজয়ীর বেশে, মুখে চওড়া হাসি নিয়ে।