ক্রিকেটার না হলে কি হতেন? জানালেন মাশরাফি

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছেন ২০০১ সালে। মেঘে মেঘে কেটে গেছে অনেক বেলা। তার ক্যারিয়ার এখন পা দিয়েছে ১৯তম বছরে। স্বভাবতই এখন চলছে শেষের ক্ষণগণনা। সবাই জানে, যে কোনো সময় চলে আসবে মাশরাফি বিন মর্তুজার অবসরের ঘোষণা।

আনুষ্ঠানিকভাবে টি-টোয়েন্টি ছেড়েছেন বছর তিনেক আগে, টেস্টও খেলেন না ২০০৯ সালের পর থেকে। তবে নিয়মিত খেলছেন ওয়ানডে ক্রিকেটে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় দলের অধিনায়কত্বও করছেন তিনি।

প্রায় ছয় বছরের যাত্রা শেষ করে আজ (বৃহস্পতিবার) আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলেন, খেলোয়াড় হিসেবে দলে থাকলেও আর অধিনায়কত্ব করবেন না মাশরাফি। শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচের পর নতুন অধিনায়কের অধীনে ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ।

অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণার দিন মাশরাফি জানান মজার এক তথ্য। কখনও যদি কোনো কারণে ক্রিকেটে না আসতেন, তাহলে কি করতেন তিনি? হয়তো জীবন কাটিয়ে দিতেন মাছের ব্যবসা করে। তবে ক্রিকেটই যে তার জীবনের বড় একটা অংশ সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন।

মজা করেই মাশরাফি বলেন, ‘সবসময় বলেছি যে, আমি আজকে যা কিছু (হয়েছি) সব ক্রিকেট দিয়েই। তো ক্রিকেট খেলা যদি না শুরু করতাম, তাহলে হয়তো মাছের ব্যবসা করতে পারতাম। কারণ আমার পারিবারিক ব্যবসা তো মাছের, ঘের-টের আছে (হাসি)। তাই ওভাবেই সব করে আসতে হতো।’

এখনও ক্রিকেটটা ছাড়েননি। তবে ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ার পরের জীবনের জন্য পরিকল্পনার বড় অংশ যে এই খেলাটিই থাকবে- সেটি বলেছেন মাশরাফি। একই সঙ্গে তার নতুন পরিচয় তথা সংসদ সদস্য হিসেবে যত দায়িত্ব, সেগুলোও করতে হবে বলে জানান টাইগার অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘আমি যা কিছু হয়েছি, এই ক্রিকেট দিয়েই হয়েছি। সামনে আমার যা কিছু পরিকল্পনা, তার প্রধান অংশেই থাকবে ক্রিকেট। অবশ্যই আমার এলাকার যে কাজ আছে সেগুলো করতে হবে। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখলে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত করতে হবে এগুলো। আমি অবশ্যই এটি থেকে পেছনে সরবো না।’

এ সময় মাশরাফি জানান, দলের যে কোনো খেলোয়াড় চাইলে যে কোনো সময় তার সাহায্য নিতে আসতে পারেন। মাশরাফির বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হচ্ছে, ক্রিকেট তো আমার রক্তের ভেতরে। যদি খেলোয়াড়রা যে কোনো সময়, যে কোনো প্রয়োজনে মনে করে যে আমাকে প্রয়োজন, আমি অবশ্যই থাকবো, আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো।’