মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য নয়: তথ্যমন্ত্রী

hasan mahamud
ফাইল ছবি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত প্রতিবেদন একপেশে ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার শুরুতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তথমন্ত্রী বলেন, গত ১১ মার্চ বিশ্বের দেশগুলোতে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে বাংলাদেশের ওপরও একটি প্রতিবেদন রয়েছে। আমরা মনে করি, এই প্রতিবেদন একপেশে। যাদের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, সে সমস্ত সংগঠনগুলো ইতিপূর্বেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।’

তিনি বলেন, ইদানীং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট আমরা একপেশে দেখতে পাই। অ্যামনেস্টি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বাংলাদেশের মানুষ সোচ্চার। সেই কারণে বাংলাদেশ সরকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, রায় কার্যকর করেছে এবং বিচারকাজ চলছে। সর্বগ্রহণযোগ্য বিচার নিয়েও প্রশ্ন তুলে যে অ্যামনেস্টি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, তাদের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে রিপোর্ট, সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের রিপোর্ট বিশ্বব্যাপীই গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। সুতরাং আমরা কোনভাবেই এ রিপোর্টকে গ্রহণ করতে পারি না।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কী পরিস্থিতি সেটিও বিশ্ববাসীর জানার প্রয়োজন রয়েছে, অধিকার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ বছরের প্রথম দিনে নানাভাবে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবছর সেদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষ হতাহত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিনা ওয়ারেন্টে অনেক মানুষকে গ্রেপ্তারও করে।

একইসাথে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক চমৎকার উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমাদের এই কার্যক্রম আরো সুদৃঢ় করতে চাই।’

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, শাহজাহান সিকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মুহাম্মাদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর, শফিকুল ইসলাম, আসলাম খাঁন প্রমুখ।