যমতে শুরু করেছে যশোরের রূপদিয়ার তরমুজের পাইকারী হাট

মৌসুমের শুরুতেই যশোর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রূপদিয়া বাজারে জমে উঠেছে ফল তরমুজের পাইকারি হাট। প্রত্যাহ কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পাইকার ও খুচরা বেচাকেনায় ব্যাস্ত সময় পার করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতা।

বৃহত্তর যশোর জেলা শহরের নিকটবর্তী সুন্দর পরিবেশ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় কারনে দুরদূরান্ত থেকে তারা মৌসুমের পয়লা থেকে বাজারে ব্যবসা জমাতে আসেন।

রূপদিয়া বাসীর ভাষ্য মতে, বছরের মৌসুমী ফল তরমুজ, বাঙ্গি, আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদি ওঠার আগ মুহুর্তে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাপারীরা এবাজারে এসে দোকান ঘর, গোডাউন এমনকি খালি যায়গাও চুক্তিতে ভাড়া করে অস্থায়ীভাবে আড়ৎ স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বহু বছর ধরে।

বছরের শুরু থেকেই রসালো ফল তরমুজের চালান আসতে শুরু করেছে গাড়িকে গাড়ি। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও রূপদিয়া বাজারের এক অংশ নিয়ে ফল ব্যবসায়ীরা প্রাইকেরী দরের আড়ৎ স্থাপন করে বেচাবিক্রি শুরু করেছে।

এবিষয়ে রূপদিয়া হাট মালিক ও তরমুজ ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, বর্তমানে দক্ষিণঞ্চলের ভোলা জেলার রাঙাবালী, কুরালিয়া, পানপুরি, পৈক্কা থেকে প্রতিদিন কয়েক গাড়ি তরমুজ রূপদিয়ার এবাজারে আসলেও বেশীর ভাগ আসে কুয়াকাটা থেকে।
এখানে আনার সাথে-সাথে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা ক্রয় করে যশোর সহ বিভিন্ন জেলার বাজার-ঘাটে পৌচ্ছে যায় হাত বদল হয়ে ব্যাপারীদের মাধ্যমে তারা জানান, ভরা মৌসুম থেকে শুধুমাত্র এই বাজারটিতে গড়ে প্রতিদিন ৮-১০ গাড়ি করে তরমুজ আমদানী-রফতানী হয়। বড় আকৃতি ১শ’ পিচ তরমুজ ১৬-২০ হাজার টাকা, ৫ কেজি ওজনের ১শ’ পিচ ১০-১২ হাজার টাকা ও তার নিচের ওজনের গুলো ৫-৬ হাজার টাকা পর্যন্ত পাইকারি দারে বিক্রয় করছেন ব্যাপারীরা। যশোর অঞ্চলে সাধারণত বাংলালিং ও কালো জাতের তরমুজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এবছরের শুরু থেকে মহামারী করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ব্যবসার বেশ সমস্য হচ্ছে। যে কারনে গতবারের চেয়ে এবার একটু বেশি দামে তরমুজ ক্রয় করতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি এক নাগাড়ে ৪ মাস অর্থাৎ জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ পর্যন্ত এই তরমুজের বেচাকেনা চলবে।