নিম্নবিত্তদের জন্য ছয় মাসের এনজিও ঋণের কিস্তি শিথিল

taka

এনজিও ঋণের কিস্তি ছয় মাসের জন্য শিথিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। এর ফলে আগামী জুন পর্যন্ত ঋণগ্রহীতা কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে সেটিকে খেলাপি বা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।

গতকাল সংস্থাটি এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে। সার্কুলারে বলা হয়, ‘বর্তমানে করোনাভাইরাসজনিত কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪৪ অনুসরণে ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ওই ঋণ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।’

এর আগে গতকাল নিম্নবিত্তদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে ‘করোনায় দিনজীবীদের কমছে আয়, চিন্তা ঋণের কিস্তি নিয়ে’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে ভুক্তভোগীরা এনজিও ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর পরই নড়েচড়ে বসে এমআরএ।

সংস্থাটির নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জ্জি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা আপাতত আগামী জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের বিষয়টি রিল্যাক্স করে সার্কুলার দিয়েছি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে প্রয়োজনে এই সুবিধা আরও বাড়ানো হবে। এমআরএর তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৫৮টি এনজিও সারা দেশে প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। ৩ কোটির বেশি গ্রাহক এই ঋণ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন