করোনাভাইরাস নিয়ে যা বলা হয়েছে চীনের গোপন নথিতে

গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৮০ টির বেশি দেশে হানা করোনা। বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৬৫৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা। এছাড়াও এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৩।

অপরদিকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৮ হাজার ৮৮৪ জন। এরইমধ্যে চীনে ৩২৭০ ও ইতালিতে ৫ হাজার ৪৭৬ জন মৃত্যুবরণ করেন। সেই উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা থেকে এখন করোনামুক্ত।

এদিকে, চীনে করোনা নিয়ে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কিত একটি গোপন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, চীনে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতরা ছিল নীরব বাহক। প্রতি তিন জনে একজন এ ভাইরাস নীরবে বহন করে। শরীরে কোনো লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় জানতেই পারেনি তারা করোনাভাইরাস বহন করছে।

দেশটিতে ফেব্রুয়ারির শেষ ভাগে ৪৩ হাজার মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়। তাদের কারও মধ্যে করোনা আক্রান্তের কোনো লক্ষণ শুরুতে ছিল না। ডাটা বলছে, এ পরিস্থিতিকে বলা হচ্ছে অ্যাসিম্পটোমেটিক। তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল, তাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। কিন্তু নিশ্চিত আক্রান্ত বলে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ওই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার।

লক্ষণ ছাড়া করোনাভাইরাস কতটা সংক্রামক, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা একমত হতে পারেননি। একজন রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় সাধারণত পাঁচ দিনের মাথায়। যদিও এই লক্ষণ তিন সপ্তাহ পর্যন্ত সুপ্ত থাকে।

সবচেয়ে বড় বাধাটা হলো, একেক দেশ একেকভাবে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার হিসাব করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরীক্ষা করে দেখার পর যাদের ফল পজিটিভ আসছে তাদেরই আক্রান্ত বলে ধরে নিচ্ছে। তাদের শরীরে করোনার লক্ষণ প্রকাশ পাক বা না পাক। দক্ষিণ কোরিয়াও তা–ই করেছে। কিন্তু চীনা সরকার ৭ ফেব্রুয়ারির করোনাভাইরাস নিয়ে দেশটির যে নির্দেশনা, তাতে কিছু পরিবর্তন এনেছে।

চীনে গত ফেব্রুয়ারিতে ৪৩ হাজার জনের মধ্যে কতজন নীরব বাহক ছিলেন এবং তাঁদের কতজনের মধ্যে পরে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়, তা এখনো পরিষ্কার নয়।