যশোরে দুই একদিনের মধ্যে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রুগী দেখবেন ডাক্তাররা

যশোরে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে দুই একদিনের মধ্যে ডাক্তাররা রোগী দেখবেন বলে জানা গেছে। যশোর সিভিল সার্জনের অফিসে হাসপাতাল ক্লিনিক মালিক সমিতির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

তবে ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ক্লিনিক খোলা থাকলেও ডাক্তাররা ক্লিনিকে আসছেন না।
আর ডাক্তাররা বলেছেন, ক্লিনিকের জায়গা না থাকায় তারা করোনা আতংকে রোগী দেখতে পারছেন না।

জানা গেছে, ২৪ মার্চ থেকে করোনা আতংকে যশোরে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডাক্তাররা আসেন না এবং রোগী দেখছেন না। এ অবস্থায় যশোরসহ অন্যান্য জায়গায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ অবস্থা নিরসনে যশোর সিভিল সার্জন অফিসে রোববার বিকেলে যশোর জেলার হাসপাতাল ক্লিনিক মালিক সমিতির সদস্যদের সাথে জরুরী বৈঠক করেন। এসময় যশোরবাসীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য ক্লিনিক মালিকদের সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন অনুরোধ জানান। সেখানে ক্লিনিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ক্লিনিক খোলা আছে বরং ডাক্তারা ক্লিনিকে আসছেন না বলে জানান।

ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও দড়াটানা হাসপাতালের পরিচালক জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস জানান, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে আমি উপস্থিত ছিলাম। সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে, যশোরে ক্লিনিক মালিক সমিতির সদস্য ৮০ হলেও জেলায় প্রায় ১৩৮টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনেস্টিক সেন্টার রয়েছে। যা সবই খোলা আছে কিন্তু ডাক্তারা আসছেন না এবং রোগী দেখছেন না। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা ডাক্তারদেরকে অনুরোধ করেছি।

ডাক্তারদের সংগঠন বিএমএ (বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন) যশোরের সভাপতি, কিংস হসপিটাল এন্ড ক্লিনিকের পরিচালক কামরুল ইসলাম বেনু জানান, তার কিংস হসপিটাল খোলা আছে। সেখানে অনেক ডাক্তার রোগী দেখছেন। তারপর যশোরের অধিকাংশ ডাক্তারদের সাথে তিনি কথা বলেছেন। তারা জেলায় সবচেয়ে বড় হাসপাতাল যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখছেন। ক্লিনিকের জায়গা স্বল্পতার কারণে ডাক্তাররা রোগী দেখতে পারছেন না। সবাই আতংকের মধ্যে রয়েছেন। তবে দুই একদিনের মধ্যে প্রত্যেক ডাক্তার হাসপাতাল ছাড়াও ক্লিনিকে ১০ থেকে ১২জন রোগী দেখবেন বলে ডাক্তাররা তাকে জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, যদি কোন রোগীকে ডাক্তার না দেখেন তাহলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি/সম্পাদক এবং সর্বোশেষ যশোরের সিভিল সার্জনকে ফোন দিলে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, যশোরে বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলা হয়েছে। তারা দুই একদিনের মধ্যে হাসপাতালের পাশাপাশি ক্লিনিকে রোগী দেখবেন বলে তারা আশ্বাস দিয়েছেন।