প্রস্তুত ৪৭০ প্রতিষ্ঠান, তাৎক্ষণিক কোয়ারেন্টাইন সেবা পাবেন ২৪৪৯২

দেশে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সক্ষমতা বেড়েছে। সারাদেশের ৬৪ জেলার সকল উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৪৭০টি প্রতিষ্ঠানকে। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ২৪ হাজার ৪৯২ জনকে।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা।

তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন ৭১ হাজার ২৪৪ জন। এর থেকে ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৬৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে গেছেন ২ হাজার ৪৭৪ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১১ হাজার ৮০৯ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৭৯২ জন আছেন। অর্থাৎ, মোট ১২ হাজার ৬০১ জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন।’

তিনি জানান, গতকালের তুলনায় আজকে মজুত ৭৯ হাজার ১৪০টি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) বেড়েছে। সানিয়া তাহমিনা বলেন, ‘বর্তমান মজুতের সংখ্যা ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭২টি। যখনই যেখানে পিপিইর প্রয়োজন হচ্ছে, আমরা পাঠাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘যে জিনিসটা নিয়ে আমাদের চিকিৎসকরা সবচেয়ে বেশি চিন্তা করছেন, সেটা হচ্ছে এন-৯৫ মাস্ক। বাকি জিনিসগুলো নিয়ে আসলে কোনো সমস্যা নেই। এন-৯৫ মাস্ক সংগ্রহের জন্য শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেখান থেকে যতখানি পারি আমরা সংগ্রহ করছি। যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি সেখানে সেটা বিতরণ করে যাচ্ছি।’

পরীক্ষার কিট ৯২ হাজার আমাদের সংগ্রহ করেছি। বর্তমানে মজুত আছে ৭১ হাজার বলেও জানান তিনি। সোনিয়া তাহমিনা বলেন, ‘আইসোলেশনের যে সংকট ছিল, তা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি বাড়ানোর জন্য। এই মুহূর্তে আমাদের প্রস্তুত আছে ঢাকা মহানগরীতে ১৫৫০, সারাদেশে ৭ হাজার ৬৯৩টি আইসোলেশন।’

বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি মার্কেট এবং দিয়াবাড়িতে ৪টি বহুতল ভবনে আইসোলেশন হাসপাতাল তৈরি হবে বলেও জানান তিনি।