গত ৩ দিনে দেশে এসেছেন ৮৪৫ জন

shahajalal international airport
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে কড়াকড়ি থাকলেও গত তিন দিনে আকাশপথ, নৌপথ ও স্থলপথে ৮৪৫ জন দেশে এসেছেন। তাদের মধ্যে যারা সুস্বাস্থ্যের সনদ নিয়ে ফিরেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং যারা সনদ নিয়ে আসেননি, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ৮, ৯ ও ১০ এপ্রিলের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। এই তিন দিনই বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের তথ্য তুলে ধরেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা।

করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে অনেক দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কড়াকড়ি রয়েছে নৌ ও স্থলবন্দরেও।

এর মধ্যেও অনেকের দেশে ফেরার তথ্য দিয়ে ১০ এপ্রিলের (শুক্রবার) বুলেটিনে সানিয়া তাহমিনা বলেন, ‘বিমানবন্দর দিয়ে মানুষ দেশে ঢুকছে এখনো। ১৭ জন মানুষ ঢুকেছেন হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে। সমুদ্রবন্দর দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ২১৭ জন এবং স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ জন দেশে প্রবেশ করেছেন। বিমানবন্দর দিয়ে যারা ঢুকছেন, তাদের মধ্যে যাদের স্বাস্থ্য সনদপত্র আছে, তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। যারা স্বাস্থ্য সনদপত্র নিয়ে আসছেন না, তাদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাকিগুলোর ক্ষেত্রেও আমরা একইভাবে করছি। বেনাপোলে আমাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার আছে। স্বাস্থ্য সনদপত্র না থাকলে তাদের সেখানে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।’

৯ এপ্রিলের বুলেটিনে তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং হয়েছে ৪৭ জনের। যারা সকলেই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রবেশ করেছেন। তাদের মধ্যে ২৪ জনের কোনো স্বাস্থ্য সনদ ছিল না। তাদের হজ ক্যাম্পের কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিরা স্বাস্থ্য সনদ নিয়ে এসেছেন। তারপরও তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছি। সমুদ্রবন্দর দিয়ে ১৫৬ জন এসেছেন। স্থলবন্দর দিয়ে এসেছেন ৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সব মিলিয়ে স্ক্রিনিং হয়েছে ২৬৭ জনের।’

তার আগের দিন ৮ এপ্রিলের বুলেটিনে বলা হয়, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় বিমানবন্দর দিয়ে কেউ-ই প্রবেশ করতে পারেননি। নৌ-বন্দর দিয়ে ২৪৩ জন এসেছেন। স্থলবন্দর দিয়ে এসেছেন ৭১ জন। মোট ৩১৪ জন দেশে প্রবেশ করেছেন নৌ ও স্থল বন্দর দিয়ে। যেখানে অন্যসময় প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষ দেশে প্রবেশ করতো।’