করোনা বিপর্যয়ে উভয় সংকটে যশোরের কৃষককূল

বিশ্বব্যপি নোভেল ভয়াল মহামারি করোনা বিপর্যয়ের ফলে সারা দেশের ন্যায় উভয় সংকটে পড়েছেন যশোর এলাকার কৃষকরা।

এবারের বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও শেষ মূহুর্তে করোনা রোধে ধারাবাহিক লকডাউন, পানি সংকট, ধান কাটা শ্রমিক সংকট সহ নানান জটিলতায় আতঙ্কের ছাঁপ পড়েছে চাষী মহলে।

জানা যায়, যশোর সদরের রামনগর, চাঁচড়া, রুপদিয়া, মণিরামপুরের কাশিমনগর, ভোজগাতী, ঢাকুরিয়া সহ পার্শ্ববর্তী কিছু কিছু এলাকায় এবারের বোরো ধান প্রায় কাটার পর্যায়ে চলে এসেছে। কিন্তু বিগত কয়েক দিনের প্রচন্ড দাবাদাহে শেষ মূহুর্তে ভূগর্ভস্ত পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গভীর বা অগভীর নলকুপ থেকে পানি ঠিকমত সরবরাহ হচ্ছে না। ফলে, মারাত্মক পানি সংকটে পড়েছেন চাষীরা। শেষ পর্যায়ে কিছু কিছু জমিতে সেচ দেবার প্রয়োজন হলেও পানি সংকটে ঠিকমত সেচ দিতে পারছেন না চাষীরা।

সারা বিশ্বের ন্যায় বাঙ্গালী জাতির এই বিপদঘন অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকের ঘরে এবারের বোরো ধান ওঠার শেষ পর্যন্ত সর্বপ্রকার সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন। তবুও ধানকাঁটা শ্রমিক সংকট সহ বিভিন্ন বিপর্যয় ঘটার আতঙ্কের ছাঁপ এলাকার কৃষি মহলে।

যশোর সদরের সিরাজ সিঙ্গা গ্রামের কৃষক ওয়াজেদ আলী, মশিয়ার রহমান, এবর সরদার, মণিরামপুরের ঢাকুরিয়া এলাকার আল-আমিন, জলিল মোড়ল, মোশাররফ মোড়ল সহ অসংখ্য বোরো চাষী জনান, আমরা এই বিপদঘন অবস্থায় লকডাউনের ফলে শ্রমিক সংকট, পানি সংকট সহ বিভিন্ন বিপর্যয় ঘটার আশংকায় আছি, আল্লাই ভরসা। মঙ্গলবার কিছু কিছু এলাকায় সামান্য ছিটে ফোটা বৃষ্টি হলেও আশংকা কাটেনি চাষী মহলে।