কেশবপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা, ঘরে তুলতে ঝড়-বৃষ্টির বাগড়া

যশোরের কেশবপুরে সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের সহজ প্রাপ্তা আর অনুকূল আবহাওয়ায় এবার উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ হেক্টর প্রতি উফশী ৬ মেট্রিকটন ও হাইব্রিড সাড়ে ৭ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করেছে। মাঠের প্রায় সব ধান কাটার উপযোগি হয়ে উঠেছে। এ ধান কাটার শুরুতে কালবৈশাখী ঝড়সহ ভারী বৃষ্টিপাত হানা দেয়ায় ধান ঘরে তোলা নিয়ে কৃষক মহা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আকাশ মেঘাচ্ছান্ন থাকায় কৃষকদের মধ্যে দ্রুত মাঠের ধান কেটে বাড়ি তোলার চেষ্টা থাকায় শ্রমিক সংকটও সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কয়েকটি বিলের পানি নিষ্কাশনের অভাবে ১৩ হাজার ৩শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের সহজ প্রাপ্তা আর অনুকূল আবহাওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটার মৌসুম শুরুতে করোনা ভাইরাস, ঝড়, বৃষ্টিসহ প্রতিদিন আকাশ মেঘাচ্ছান্ন থাকায় কৃষকদের মধ্যে দ্রুত মাঠের ধান কেটে বাড়ি তোলার চেষ্টা থাকায় শ্রমিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্র, শনিবার, মঙ্গলবারসহ ৩/৪ দিনের ঝড়, বৃষ্টিতে অনেকের কাটা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এ তলিয়ে যাওয়া সংগ্রহ করতে কৃষকদের বাড়তি শ্রমিক ব্যয় করতে হচ্ছে। ফলে কৃষকরে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।

ভোগতি নরেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আহাদ জানান, কাটা ধান হঠাৎ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।

পাঁজিয়া গ্রামের বর্গা চাষী ইসমাইল খা জানান, তিনি আকাশ পরিস্কার দেখে ২৬ শতক জমির কেটেছেন। সে ধান এখন পানিতে ভাসছে।

মধ্যকূল গ্রামের কৃষক ভোলা দেবনাথ জানান, আকাশ মেঘাচ্ছান্ন থাকায় তার ক্ষেতের পাকা ধান কাটতে পারছে না।

বেতীখোলা গ্রামের বর্গা চষিী সজরুল জানান, আকাশ মেঘাচ্ছান্ন থাকায় কৃষকদের মধ্যে দ্রুত মাঠের ধান কেটে বাড়ি তোলার চেষ্টা থাকায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।

কেশবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দিন জানান, একদিকে করোনা ভাইরাসের হানা অন্যদিকে প্রতিদিন ঝড়সহ ভারী বৃষ্টিপাত হানা দেয়ায় ধান ঘরে তোলা নিয়ে কৃষকরা দূচিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের দপ্তর থেকে নোটিশের মাধ্যমে কৃষকদের জানানো হয়েছে, কোন কৃষক শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পারলে তাদেরকে উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।