প্রকাশ্য দিবালোকে কলেজ ছাত্রী মোছাঃ মাসুমা খাতুন ওরফে সাদিয়া (১৭)কে অপহরণের অভিযোগে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় আসামী করা হয়েছে, যশোর শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক রোড আনসার ক্যাম্পের পিছনে বর্তমানে যশোর ঝুমঝুমপুর বিজিবি ক্যান্টিনের সামনে আদর্শপাড়া মাওলার বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল মান্নানের ছেলে হৃদয় ও শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক আনসার ক্যাম্পের পিছনে মৃত সাকাতের ছেলে হাসানসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
যশোর শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড়ের শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ মিনা খাতুন বাদি হয়ে সোমবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় উল্লেখিত আসামীদের নামে এৎাহার দায়ের করেন।
তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন, তার ভাই আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে মোছাঃ মাসুমা খাতুন (১৭) তার বাড়িতে থেকে যশোর এমএম কলেজে লেখাপড়া করে। কলেজে আসা যাওয়ার প্রাক্কালে হৃদয় তাকে উত্যক্তসহ বিয়ের প্রলোভন দেখাতো। মাসুমা খাতুনের কাছ থেকে জেনে মিনা খাতুন হৃদয়ের সহযোগী হাসানকে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা বিভিন্ন ভাবে অপহরণের সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত ২৪ এপ্রিল সকালে মাসুমা খাতুন খাবার কিনতে ফুফুর বাড়ি হতে বের হয়। সকাল সাড়ে ৮ টায় বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড়স্থ ফুফুর বাড়ির সামনে আসা মাত্রই ওৎপেতে থাকা হৃদয় ও হাসানসহ তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা দুই মোটরসাইকেল যোকে মাসুমা খাতুনকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
ফুফু মিনা খাতুন হৃদয়ের সহযোগী হাসানের কাছে মাসুমা খাতুনের ব্যাপারে জানতে গেলে তাকে হুমকী দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারেন মাসুমা খাতুনকে জনৈক লুৎফর রহমানের বাড়িতে আসামীরা লুকিয়ে রাখে। পুলিশ মাসুমা খাতুনকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করে আদালতে ২২ ধারায় জবান বন্দি গ্রহনের জন্য সোপর্দ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (মঙ্গলবার বিকাল ৪টা) হৃদয় ও হাসানসহ তাদের সহযোগী কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।