২৫ লাখ ডলারে বিক্রি `চাঁদের উল্কা’!

বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাঁদের উল্কা বিক্রি হয়ে গেল। নিলামে তোলা হয় একটি চাঁদের উল্কা। দাম উঠে ২০ লাখ পাউন্ড বা প্রায় ২৫ লাখ ডলার। ১৩ দশমিক পাঁচ কেজি ওজনের চাঁদের শিলাটি সম্ভবত একটি গ্রহাণু বা ধূমকেতুর সাথে ধাক্কা খেয়ে চাঁদের তলদেশ থেকে ছিটকে গিয়েছিল। বিজ্ঞানীদের ধারণা, তারপরেই এটি এসে সাহারা মরুভূমিতে পড়ে।

চাঁদের উল্কাটির নাম এনডব্লুএ-১২৬৯১। বলা হচ্ছে, পৃথিবীর বুকে পাওয়া পঞ্চম বৃহত্তম চন্দ্রশিলা এটি। সবচেয়ে বড় শিলাটির ওজন ছিল ৬৫০ কেজি। নিলাম কম্পানি ক্রিশ্চিয়ার প্রধান জেমস হেসলপ জানান, নিজের দুনিয়ার বাইরে কোনো মহাজাগতিক দ্রব্য নিজের হাতে নেওয়ার মতো মহাবিস্ময়কর বস্তু আর নেই। এই অভিজ্ঞতাই আলাদা। তিনি বলেন এটি চাঁদের আসল উল্কা।

এটি পরীক্ষা করে চাঁদের মাটির মান ও ধরন সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যায়। একটি ফুটবলের মাপের এই শিলাটি নিজের সঞ্চয়ে রাখার ভাগ্য সবার হয় না। অন্যান্য শিলার মতো এই শিলাটিও সাহারা মরুভূমিতে এক ব্যক্তি কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। চাঁদ থেকে ২৪০,০০০ মাইল পথ পেরিয়ে পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে সেটি বলে খবর।

এর আগে, জানা যায় পৃথিবীর চারদিকে নাকি ঘুরছে আরো এক চাঁদ। না কৃত্রিম নয়, প্রাকৃতিক। তাকে ‘মিনিমুন’ আখ্যা দিচ্ছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ১৫ ফেব্রুয়ারির রাতে উজ্জ্বল এক বস্তুকে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসতে দেখে চমকে ওঠেছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। অবজারভেটরি থেকে দেখা যায় সেই চাঁদকে। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার লুনার অ্যান্ড প্ল্যানেটরি ল্যাবের গবেষক ক্যাসপার উইরজোস একটি ভিডিও টুইট করে এই খবর জানান। বছর তিনেক আগে এটি পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়ে।

চাঁদের মতো সেও নাকি ছন্দে ছন্দে পাক খেয়ে যাচ্ছে পৃথিবীকে। বিজ্ঞানীরা তার নাম দিয়েছেন ২০২০ সিডি-৩। অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির লুনার আর প্ল্যানেটরি ল্যাবরেটরির গবেষণা চলে নাসারই তত্ত্বাবধানে। ‘মিনিমুন’ ২০২০ সিডি-৩-এর খোঁজ পেয়ে নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানী মহলে হইচই পড়ে গেছে। পৃথিবীর নতুন চাঁদকে বেশ অ্যাপায়ন করেই মেনে নেওয়া হয়েছে।